আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনোই হত্যা ও গুমের রাজনীতি করে না। এটা বিএনপির কাজ।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কখনো খুন-গুমের সঙ্গে জড়িত নয়, এটা ছিল বিএনপির কাজ। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা থাকাকালীন হত্যা ও গুমের রাজনীতি চালিয়েছিল। এ সময় অনেক সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৫ থেকে ২৬ হাজার জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। সামরিক বাহিনী ও নৌ বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিনা বিচারে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছিল। শুধু তাই নয়, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। এরপর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার শিকার হতে হয়েছিল। তারা ২০০৪ সালে ক্লিন হার্ট অপারেশনের নামে ৬৫ জন যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পিটিয়ে হত্যা করেছে।’
আজ সোমবার সকালে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমী অডিটরিয়ামে ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে জোটের আসন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জোটের শরিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে এবং ওই বৈঠকে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পর শরিক দল সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ১৪ দলীয় জোটের সাথে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি খুব দ্রুতই নিষ্পত্তি হবে।’
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজুসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদেন। জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মানিক কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ডার সাইদুর রহমান।