রেফারির ওপর খেলোয়াড়দের চড়াও হওয়ার দায়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করেছে দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। এ মাসের শুরুতে প্রিমিয়ার লিগে টটেনহামের বিপক্ষে ৩-৩ ড্র ম্যাচের শেষ দিকে ঘটেছিল এ ঘটনা।
পরবর্তী সময়ে এ ঘটনায় সিটির বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়। সিটিও খেলোয়াড়দের অসদাচরণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এবার জরিমানা গুনতে হয়েছে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের।
সিটির বিরুদ্ধে জরিমানার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এফএ বলেছে, ৩ ডিসেম্বর প্রিমিয়ার লিগে টটেনহামের বিপক্ষে ম্যাচে ম্যাচ অফিশিয়ালকে খেলোয়াড়েরা ঘিরে ধরায় ম্যানচেস্টার সিটিকে ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে।
সেদিন ম্যাচের ৯৪ মিনিটের খেলা চলছিল তখন। এমন সময় বল নিয়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় ফাউলের শিকার হন হলান্ড। তবে দ্রুতই নিজেকে সামলে বল বাড়ান সামনে থাকা গ্রিলিশের উদ্দেশ্যে। চমৎকারভাবে বাড়ানো বল ধরে গ্রিলিশ গোলমুখে ছুটে যাচ্ছিলেন। পেছনে তখন শুধু দুই টটেনহাম ডিফেন্ডার। গোলের বেশ ভালো সম্ভাবনায় ছিল সিটির সামনে।
কিন্তু ঠিক সে সময় রেফারি বাঁশি বাজালে থেমে যেতে হয় গ্রিলিশকে। হলান্ডকে ফাউলের ঘটনায় সিটিকে ফ্রি-কিক দেন রেফারি। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হন সিটি খেলোয়াড়েরা। মূলত তাৎক্ষণিকভাবে ফাউল না দিয়ে সিটি গোলের সম্ভাবনা তৈরির পর ফাউল দেওয়ার কারণে রেফারি সাইমন হুপারকে ঘিরে ধরেন হলান্ডসহ অন্য খেলোয়াড়েরা। এতে অবশ্য কোনো লাভ হয়নি। উল্টো হলুদ কার্ড দেখেন হলান্ড।
হলান্ড অবশ্য সেটুকুতেই থামেননি। পরে ফাউলের ঘটনার একটি ভিডিও রিটুইট করেন এই স্ট্রাইকার। সঙ্গে ক্যাপশনে জুড়ে দিয়েছেন গালি হিসেবে ব্যবহার করা হয় এমন শব্দ। ঘটনার পর খেলোয়াড়েরা অবশ্য সিটি কোচ গার্দিওলার সমর্থন পেয়েছিলেন।