করোনা ভাইরাস মহামারির বিস্তার রোধে সাতদিনের লকডাউন চলাকালে হাইকোর্ট বিভাগের নির্ধারিত চারটি বেঞ্চে ভার্চ্যুয়ালি বিচারকাজ শুরু হচ্ছে। এ চার বেঞ্চ মঙ্গলবারের (০৬ এপ্রিল) কার্যতালিকাভুক্ত রয়েছে।
এদিন সকাল ১১টা থেকে এসব বেঞ্চের কার্যতক্রম শুরু হতে পারে। এর আগে সোমবার (৫ এপ্রিল) এ সব বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ জরুরি রিট মোশন গ্রহণ করবেন। জরুরি সব ধরনের দেওয়ানি মোশন গ্রহণ করবেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের দ্বৈত বেঞ্চ।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের দ্বৈত বেঞ্চ জরুরি ফৌজদারি মোশন গ্রহণ করবেন। এছাড়া বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্ত আবেদনপত্র শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আদালত কিভাবে চলবে সে বিষয়ে গত রোববার পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে এ বিষয়ে জারি করা আপিল বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা হতে চেম্বার আদালত অতিব জরুরি বিষয়ে শুনানি করবেন।
হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ এপ্রিল থেকে এফিডেভিট জরুরি বিষয়ে রিট, দেওয়ানি ও ফৌজদারি সংক্রান্তে একটি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্তে একটি বেঞ্চ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুনানি করবেন।
নিম্ন আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে এবং অন্যান্য সব অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।