পরবর্তী প্রজন্মের এ অস্ত্র প্রতিপক্ষকে প্রতিক্রিয়ায় সময়টুকুও দেয় না, তার আগেই তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রতিরক্ষার সরঞ্জামগুলো ধ্বংস করে দেয়।
পরীক্ষাটি চালাতে ভার্জিনিয়ার সাগর তীরবর্তী একটি লঞ্চ প্যাড থেকে একটি রকেট উৎপক্ষেপণ করে মার্কিন নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক ডজন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।
বুধবার এ পরীক্ষা চালাতে ভার্জিনিয়ার সাগর তীরবর্তী একটি লঞ্চ প্যাড থেকে একটি রকেট উৎপক্ষেপণ করে মার্কিন নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী।
নতুন ধরনের এ অস্ত্রের উৎপাদন বিকাশে সহায়তা করার লক্ষ্যে চালানো এ পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন) জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ভার্জিনিয়ায় নাসার ওয়ালপস ফ্লাইট ফ্যাসিলিটি থেকে এ পরীক্ষাটি পরিচালনা করে স্যান্ডিয়া ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিস। স্যান্ডিয়া হাইপারসনিক অস্ত্রের যোগাযোগ ও নেভিগেশন যন্ত্রপাতির কার্যকারিতা মূল্যায়নের পাশাপাশি ‘বাস্তবিক হাইপারসনিক পরিবেশে’ যে তাপ বিরাজ করে অত্যাধুনিক উপকরণগুলো তা সহ্য করতে পারে কিনা তা যাচাই করে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী।
বায়ুমণ্ডলের ওপরের অংশে একটি রকেট পাঠিয়ে সেটি থেকে হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকেলগুলো ছোড়া হয়, তখন অত্যাধুনিক এ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শব্দের পাঁচ গুণেরও বেশি গতিতে (ঘণ্টায় ৬২০০ কিলোমিটার) লক্ষ্যের দিকে ছুটে যায়।
পরবর্তী প্রজন্মের এ অস্ত্র প্রতিপক্ষকে প্রতিক্রিয়ায় সময়টুকুও দেয় না, তার আগেই তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রতিরক্ষার সরঞ্জামগুলো ধ্বংস করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের প্রতিপক্ষ বিশ্ব শক্তিগুলো হাইপারসনিক অস্ত্র নির্মাণের গতি ত্বরান্বিত করেছে।