সারাদেশে ৩৩ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ হাওরাঞ্চলের ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে।আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে বোরো ধান নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘হাওরে বন্যা আসার আগেই যেন ধান কাটা সম্ভব হয়, এমন জাত নিয়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘ধানের আমাদের মূল মৌসুম হলো বোরো। আমরা প্রতি বছর ৪৮-৪৯ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো করে থাকি। এবার আমাদের বড় চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৯ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর, অর্জন হয়েছে ৫০ লাখ হেক্টর। এ বছর যা টার্গেট করেছিলাম এর থেকে বেশি বোরো লাগানো হয়েছে।
মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাওরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ও উঁচু জায়গা রয়েছে। হাওরে সবমিলিয়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। হাওরে আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ লাখ টন। হাওরে ধান কাটা চরম ঝুঁকিপূর্ণ। আগে প্রত্যেক বছরই দেখতাম কিছু না কিছু হাওর এলাকা ডুবে যেত, ধান নষ্ট হতো, কৃষকরা তাদের ধান ঘরে তুলতে পারতেন না।
তিনি বলেন, শেষ খবর হলো হাওরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে, কৃষকদের আমরা তাড়াতাড়ি ধান কাটতে উৎসাহিত করেছি। সুনামগঞ্জে এক হাজার কম্বাইন হারভেস্টার ধান কেটেছে। ৬৬৮টি রিপার ধান কেটেছে। এবার তেমন বন্যাও আসেনি। এটি আমাদের একটা বড় অর্জন।
এবার বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ১৫ লাখ জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি দুই কোটি ২০ থেকে ২৫ লাখ টন অর্জন হবে। এরই মধ্যে সারাদেশের ৩৩ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। একটি ভালো অগ্রগতি হয়েছে। আশা করা যায় খাদ্য নিয়ে আর সমস্যা হবে না। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলেই রয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ও শিলা বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিলাবৃষ্টিতে স্থানীয়ভাবে কিছুটা ক্ষতি হয়। এবার ধানের দামও মোটামুটি ভালো। চাষিরা ধান বিক্রি করতেছে তাদের কোনো অভিযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ধান কাটা ও উৎপাদনের মূল মৌসুম হলো বোরো। আগে বোরো উল্লেখযোগ্য ফসল ছিল না। বিলে সেচ দিয়ে খুব সীমিত আকারে এ ধানের চাষ করা হতো। উৎপাদনশীলতাও কম ছিল। কিন্তু সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে আজ বোরোই প্রধান ফসল হয়ে গেছে।