1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন

হার কমলেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্যবিয়ে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০
হার কমলেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্যবিয়ে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে
প্রতীকি ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার কমে এখন ৫১ শতাংশ। এ হার অবশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি। বুধবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশের বাল্যবিয়ে পরিস্থিতি বিষয়ে ইউনিসেফের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই হারের কথা জানানো হয়েছে।

২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতো। কিন্তু ২০১৮ সালে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, বাল্যবিয়ের হার ৫৯ শতাংশ।

বুধবার ‘এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ: আ প্রোফাইল অব প্রোগ্রেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সচিবালয় প্রান্ত থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা এতে যুক্ত হন।

অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ক্লডিয়া কাপ্পা।

প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি এবং বাল্যবিয়েপ্রবণ পৃথিবীর শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।

ইউনিসেফের সিনিয়র অ্যাডভাইজার প্রতিবেদন তুলে ধরে জানান, দেশের পুরো জনসংখ্যার মধ্যে ৩ কোটি ৮০ লাখ নারীর বাল্যবিয়ে (১৮ বছরের আগে বিয়ে) হয়েছে। এদের মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছরের আগে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বাল্যবিয়ের শিকার শিশুদের বেশিরভাগ দরিদ্র পরিবারের ও গ্রামে বাস করে। বাল্যবিয়ের শিকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার অবিবাহিত মেয়ে শিক্ষার্থীদের তুলনায় ৪ গুণ বেশি।

বিবাহিত প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রতি পাঁচজন ১৮ বছরের আগে ও প্রতি ৮ জন ২০ বছরের আগে সন্তান জন্ম দেয়। বাল্যবিয়ে কমানোর অগ্রগতি উচ্চবিত্ত ও ধনী শ্রেণির মধ্যে বেশি বলেও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।

দেশেরমধ্যে বাল্যবিয়েতে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে ৯০ লাখ নারীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এ জেলায় বাল্যবিয়ের হার ৭৩ শতাংশ। বাল্যবিয়ে সবচেয়ে কম চট্টগ্রাম জেলায়। এ জেলায় বাল্যবিয়ের হার ৩৯ শতাংশ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি