‘সব মিলিয়ে হাসপাতালের এক ইঞ্চি জায়গা খালি থাকলেও কোনো রোগীকে সেবা বঞ্চিত করা হবে না। করোনার প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সকল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত নিজ বাসভবন থেকে অনলাইন জুম অ্যাপের মাধ্যমে অংশ নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নতুন ১০টি আইসিইউ বেড উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রকোপ দিন দিন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে হাসপাতালের শয্যা দ্রুত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ কারণে সরকার কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সকল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি মার্কেটকে পুরোপুরি কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এই হাসপাতালে মোট সাড়ে ১২০০ করোনা ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। এখানে ৫০টি আইসিইউ শয্যা ও ২০০টি এসডিও শয্যা রয়েছে। এর পাশাপাশি ১ হাজারটি আইসোলেশন শয্যা রয়েছে। এর বাইরে অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের প্রতিটিতেই কভিড শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮০০টির মতো করোনা ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। এখানে প্রতিটি শয্যায়ই হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা সুবিধা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ঢাকা মেডিক্যালে আগের আইসিইউ, এসডিও-এর সঙ্গে আজ আরো ১০টি নতুন আইসিইউ শয্যা সংযুক্ত হলো। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও করোনা রোগাীদের জন্য সুবিধাদি বাড়ানো হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘সব মিলিয়ে হাসপাতালের এক ইঞ্চি জায়গা খালি থাকলেও কোনো রোগীকে সেবা বঞ্চিত করা হবে না। কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। যেভাবে প্রতিদিন করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে দেশে কোনো হাসপাতালেই রোগী রাখার জায়গা থাকবে না। এজন্য করোনা বৃদ্ধি ঠেকাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এখনি।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ১৮টি নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়নসহ সকল স্থানে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে না পারলে আগামীতে এই প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. নাজমুল হোসেনসহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অন্যান্য চিকিৎসক, কর্মকর্তারা এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভার শেষ পর্যায়ে অনলাইন ভিডিও এর মাধ্যমে নতুন স্থাপিত ১০টি আইসিইউ বেডের ভিডিও চিত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেখান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।