ষষ্ঠ ম্যাচে প্রথম জয় পাওয়া দিল্লি ক্যাপিটালস ক্লাব রেকর্ড গড়লো। নিজেদের আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করেছে। ১৪৪ রান করেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৭ রানে হারিয়েছে তারা। টানা দ্বিতীয় জয় পেলো দলটি।
দিল্লি চমৎকার বোলিং পারফরম্যান্স করলো। ১৪৪ রান নিশ্চিতভাবে স্বস্তিদায়ক ছিল না। কিন্তু আশা হারায়নি তারা। তাদের বোলারদের উজ্জীবিত পারফরম্যান্স রক্ষা করেছে।
প্রথম ওভারেই ইশান্ত উইকেট পেতে পারতেন। শূন্য রানে জীবন পাওয়া মায়াঙ্ক আগারওয়াল ঘুরে দাঁড়ান পাওয়ার প্লেতে, কিন্তু তার ওপেনিং পার্টনার হ্যারি ব্রুক ভুগছিলেন। আনরিখ নর্কিয়ের বিরুদ্ধে বাজে শট খেলতে গিয়ে বোল্ড তিনি।
স্বাগতিকরা পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৬ রান করে। মাঝের ওভারগুলোতে দিল্লির বোলাররা রানের লাগাম টেনে ধরে রাখেন। ২৬ বলে কোনও বাউন্ডারি ছিল না। আগারওয়াল (৪৯) ও ত্রিপাঠী (১৫) দ্রুত ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।
দুই স্পিনার কুলদীপ ও অক্ষর হায়দরাবাদকে ধাক্কা দেন মার্করাম (৩) ও অভিষেক শর্মাকে (৫) ফিরিয়ে। ৮৫ রানে নেই ৫ উইকেট।
১৭তম ওভারে ক্লাসেন ইনিংসের প্রথম ছক্কা মারেন। তার সঙ্গে ওয়াশিংটন সুন্দর দলকে লড়াইয়ে রাখেন। ২ ওভারে ২৮ রান তোলেন তারা, শেষ ২ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ২৩ রানে। শেষের আগের ওভারে নর্কিয়ে ফেরান ক্লাসেনকে (৩১)। শেষ ওভারে মুকেশ কুমারের ৬ বল থেকে প্রয়োজনীয় ১৩ রান নিতে পারেননি ওয়াশিংটন ও মার্কো জানসেন। মাত্র ৫ রান তোলেন তারা। ৬ উইকেটে ১৩৭ রানে থামে হায়দরাবাদ।
৪ ওভারে অক্ষর ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। তার আগে ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে যৌথ সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রান করেন মানীষ পান্ডে। ২৫ রান করেন মিচেল মার্শ, অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার খেলেন ২১ রানের ইনিংস। ৯ উইকেট হারিয়ে ইনিংস শেষ করে দিল্লি।
এই আইপিএলে প্রথমবার দুই ইনিংসই ২০ ওভারে শেষ হয়েছে, কিন্তু কোনও ফিফটি নেই।
টানা জিতলেও ৪ পয়েন্ট নিয়ে ৭ ম্যাচ খেলে শেষ দল দিল্লি। টানা তিন ম্যাচ হারলো হায়দরাবাদ। সমান খেলে একই পয়েন্ট নিয়ে ঠিক দিল্লির ওপরে তারা।