জেলা পুলিশের বিশেষ দল গত ২৪ ঘন্টায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হেফাজতের কর্মী ও সমর্থক। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৩৬ জন। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, হেফাজত তাণ্ডবের স্থির ও ভিডিও চিত্র দেখে তাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৫৬টি। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি।
ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, এসব মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো প্রায় ৩৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে মোট ৩৩৬ জন।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দিয়ে হেফাজতের ব্যানারে মাদ্রাসার ছাত্ররা গত ২৬ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ওই দিন বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে হামলা চালিয়ে জাতির জনকের ম্যুরাল ভাংচুরসহ পুলিশসুপারের অফিসে ভাংচুরসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়।
এ ছাড়াও ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে হরতাল সমর্থকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শহীদ ধীরেন্দ্রসনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীরেত পরিণত করে।