হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের বিরুদ্ধে নৈতিক পদস্থলন ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। একই সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে খেলাফত মজলিসকেও নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী ফ্রন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামের নামে নৈরাজ্যের প্রতিবাদ ও বাংলাদেশে রাজনৈতিক-ধর্মীয়ক্ষেত্রে চলমান অস্থিরতা নিরসনকল্পে সাত দফা দাবি সম্বলিত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব এম এ মতিনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যারা এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নয় তারাই আজ ইসলামের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাজাকার, আল বদর, আশ শামস বাহিনীর বিচার হলেও একাত্তরে একই রকম যুদ্ধাপরাধে যুক্ত ওহাবী মতাদর্শী কওমি মুজাহিদ বাহিনীর বিচার না হওয়ায় তারা আজ এদেশে মধ্যযুগীয় কায়দায় তালেবানি মডেলে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নৈতিক পদস্থলন ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হেফাজতকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের কমিটি বিলুপ্তি বা নতুন কমিটি গঠন করা ইতোপূর্বে সংগঠিত জঙ্গিবাদী অপরাধকে মার্জনা করে না। সম্প্রতি পুলিশ প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিংয়ে হেফাজতের রাজনৈতিক সংগঠন খেলাফত মজলিসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততার কথা উঠে এসেছে। এ তথ্য যদি সত্য হয় তবে খেলাফত মজলিসের নিবন্ধন বাতিলসহ জঙ্গি সম্পৃক্ততার কারণে এ দলটিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করোনাকালেও শিশু-নারী নির্যাতনের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিপীড়ক, ধর্ষক, হত্যাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দ্রুত আইনে সর্বোচ্চ সাজার ব্যবস্থা করলে দেশে এ ধরনের অপরাধের মাত্রা অনেকাংশ কমে যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাময়িক চুক্তিবদ্ধ বিয়ে হারাম ঘোষণা দিয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশের শীর্ষ ৫৫১ জন আলেম প্রেরিত বিবৃতির সঙ্গে একাত্মতাও পোষণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এম এ মান্নান, সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আহমদ হোসাইন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ শাহ খলিলুর রহমান নিজামী, শাইখ আবু সুফিয়ান খান আবেদী, অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ, রেজাউল করিম তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসাইন, মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, ওবাইদুল মুস্তফা কদমরসুলী, আব্দুন নবী আল কাদেরী, মাওলানা ফেরদৌসুল আলম খান, মাওলানা আবদুল খালেক, অধ্যক্ষ হাফেজ আহমদ কাদেরী, নাসির উদ্দীন মাহমুদ, ইয়াসিন হোসাইন হায়দরি, করিম উদ্দিন নূরী, আলী হোসাইন, অধ্যাপক আবদুর রহিম মুনিরী, আশরাফ হোসাইন, সাইদুল হক সাঈদ কাজেমী, সৈয়দ আবু আজম, অধ্যক্ষ ডি আই এম জাহাঙ্গীর, সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া, মুহাম্মদ নুরুল্লাহ রায়হান খান, হাবিবুল মোস্তফা সিদ্দিকী, জামাল উদ্দিন খোকন, জামাল উদ্দিন, সালাউদ্দিন খোকন, মো. এনামুল হক, বদরুল হুদা তারেক, আতাউল্লাহ, খোরশেদুল আলম সুজন, শাহজাহান বাদশা, হাফেজ আতিকুর রহমান, আবদুল্লাহ আল জাবের, কে. এম আজাদ রানা, নুরে রহমান রনি, আমির হোসেন, আবদুল্লাহ আল রোমান, জহির উদ্দিন, কাজী মো. আরাফাত প্রমুখ।