হেফাজত কর্তৃক পবিত্র ধর্ম ইসলামকে কলংকিত করার প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন করেন হাক্কানী আলেম সমাজ।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এন, এস, কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. আলহাজ্ব মুফতি মাওলানা কফিলউদ্দিন সরকার সালেহি, অনুষ্ঠানের পরিচালক ড. আব্দুল মোমেন সিরাজী। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ধর্মিও আলোচক মাওলানা লোকমান সাইফী, মাওলানা ইসমাঈল হোসাইন, মাওলানা মুফতি এহসানুল হক্ব মোজাদ্দেদী, বিশিষ্ট কারী মাওলানা আজিজুল হক , মাওলানা মাইনুদ্দিন আল ফারুকী, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কারাগার জামেই মাসজিদের ইমাম ও খতীব মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কফিলউদ্দিন সরকার সালেহি বলেন, গত মার্চ মাসের ২৫ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত যেভাবে তারা সরকারি ও বেসরকারি মূল্যবান স্থাপনা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভষ্মিভূত করে দিয়েছে এবং মানুষের জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে তা ইসলাম কখনাে সমর্থন করে না । সম্প্রতি হেফাজতের এক নেতা নারায়নগঞ্জ রয়েল রিসাের্টে পর-নারী নিয়ে যেভাবে আনন্দে মেতে উঠেছিল তা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় । বর্তমানে তিনি সহ যে সকল ধর্ম ব্যবসায়ী প্রশাসনের হাতে আটক আছেন , প্রত্যেকেই ইসলাম দ্রোহী ও রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডে জড়িত । বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের বলৎকারের চিত্র যেভাবে প্রকাশ পাচ্ছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও জঘন্যতম অপরাধ । অতীত ইতিহাস এবং কোরআন ও হাদীসের মাধ্যমে প্রায় সকল মুসলিম অবগত বলৎকাৱেৱ দরুন কওমে লুতকে মহান আল্লাহ ধ্বংস করেছেন । যার নিদর্শন এখনাে বিরাজমান। যাকে আমরা ডেডসি হিসেবে জানি । অপর পক্ষে কেউ কেউ এ অপরাধীদের আটকের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন তারা ধর্মীয় নেতা । মূলত তারা ধর্মের লেবাসধারী । তারা কুপমণ্ডকতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মকে কলংকিত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে । তাই তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।
প্রশাসন তাদের অন্যায় , মিথ্যা ও প্রতারণার বিরুদ্ধে বিচারের মুখােমুখী করার জন্য যেভাবে অপরাধীদের গ্রেফতার করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে , সেই অভিযানকে আমরা সাধুবাদ জানাই । পাশাপাশি সকল ইসলাম গর্হিত কর্মকান্ডকে যারা প্রশ্রয় দেয় , তাদের সেই কথিত ধর্ম ব্যবসায়ীদের পরিত্যাগ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি বিনীত অনুরােধ জানাচ্ছি।