গত কয়েক দিনে বেশ কিছু অভিযোগে গ্রেফতার হেলেনা জাহাঙ্গীর, শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান, মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসান, চিত্রনায়িকা পরীমণি, ম্যানেজার সবুজসহ গ্রেফতার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, পরীমণির কথিত মামা ও সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার চাইল র্যাব।
রোববার (৯ আগস্ট) তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০ মামলার তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দেয় এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীর, শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান, মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসান, চিত্রনায়িকা পরীমণি, ম্যানেজার সবুজসহ গ্রেফতার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, পরীমণির কথিত মামা ও সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত দায়িত্ব চেয়ে গত রোববার চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের অনুমতি মিললে মামলাগুলো র্যাব দ্রুততা ও গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করবে।
নানা কারণে আলোচিত–সমালোচিত এসব ব্যক্তির বাসা–অফিস থেকে বিদেশি মদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কথা বলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
র্যাবের দাবি, গত ৪ আগস্ট বিকেল থেকে রাত অবধি অভিযানকালে চিত্রনায়িকা পরীমণির বনানীর বাসার শয়নকক্ষ থেকে ১৯টি বিদেশি মদের বোতল, বিভিন্ন প্রকার বিদেশি মদসহ দেড় শতাধিক ব্যবহৃত বিদেশি মদের বোতল, ইয়াবা ও শিশা, এলএসডি ও আইস জব্দ করা হয়েছে।
একই রাতে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বনানীর অফিস থেকে ৯৭০টি ইয়াবা জব্দ করা হয়। র্যাবের ভাষ্য, কথিত ব্যবসায়ী শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসানের বসুন্ধরা এলাকার একটি ফ্ল্যাটের ওয়ার্ডরোব থেকে ৭ হাজার ২০০টি ইয়াবা বড়ি জব্দ হয়।