শিবিরের সাবেক বায়তুলমাল সম্পাদক নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হয়েই অর্থবৃত্তেরজোয়ারঃ পাঁচ বছরে বনে গেছেন শতকোটি টাকার মালিক! পর্ব–১
চট্টগ্রাম, বাঁশখালী, ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, শিবিরের সাবেক বায়তুলমাল সম্পাদক বদরুদ্দীন চৌধুরী পাঁচ বছর আগে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরেই হাতে যেন তিনি ‘আলাদিনের চেরাগ’ পেয়ে যান। মাত্র পাঁচবছরের মাথায় গড়ে তুলেছে শতকোটি টাকার সম্পদ। পাঁচবছর পূর্বে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার সময় ছিলনা তার দৃশ্যমান কোনো গাড়ি-বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে নিজ গ্রামের বাড়িতে গড়ে তুলেছে একটি নান্দনিক ডুপ্লেক্স বাড়ি। সেই নান্দনিক ডুপ্লেক্স বাড়ির নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
চেয়ারম্যান হওয়ার মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় বদরুদ্দীন চৌধুরী শতকোটি টাকার মালিক হওয়ার বিষয়টি এখন বাঁশখালীর অলিগলিতে ‘টক অব দ্য ভিলেজ’।
বদরুদ্দীন চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে ছিলনা তার কোনো গাড়ি। বর্তমান তার ব্যহারে রয়েছে ৬,৪০০,০০০ লক্ষ টাকা দামের একটি Harrier গাড়ি। চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউরী এলাকায় সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রয়েছে কোটি টাকার ফ্ল্যাট বাড়ি।
এলাকার সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রীর বড় ভাই (সম্বন্ধী) সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হওয়ায় তার নাম ভাঙিয়ে এবং তাঁর পেশিশক্তির প্রভাবে চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন চৌধুরী বিভিন্ন অপকর্ম করার শর্তেও পার পেয়ে যায়।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনবান্ধব, অভিনব ও ব্যতিক্রম একটি কাজ আশ্রয়ণ প্রকল্প। মূলত ভূমীহীনদের পূনর্বাসনের জন্য এই প্রকল্প দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, চট্টগ্রাম, বাঁশখালী, ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়নের সেন্টার পুকুর পাড়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ২৬টি ঘর নির্মাণ হচ্ছিল। আইননুসারে একজন চেয়ারম্যান নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঠিকাদারি করার নিয়ম না থাকলেও আইনকে বৃদ্ধ আঙ্গুল দেখিয়ে বিশেষ তদবিরের মাধ্যমে চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন চৌধুরী অলিখিত ভাবে তার নির্বাচনী এলাকায় ঠিকাদারি নিয়ে এই প্রকল্প কে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নির্মাণ কাজে ব্যাবহার করা হয়েছিল নিম্ন মানের লবণাক্ত বালু,রড় এবং সিমেন্ট। ০৩/০৩/২০২২ এই বিষয়ে স্থানীয় জনগণ প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন চৌধুরীর সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দ্বারা এক বয়োবৃদ্ধ সহ ১৫ জন মানুষের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেন। সেই ঘটনার বিষয়ে দু’পক্ষের লোকজন পাল্টা মামলা করেন। সেদিন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সাইদুজ্জামান চৌধুরী এবং প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ রিয়াদ হোসেন উক্ত ব্যপারে অবগত হয়ে গঠনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ প্রহরায় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলেন। সেই সময় স্থানীয় সচেতন লোকজন উপস্থিত কর্মাকর্তাদের চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, এসব পিলারে ৬ ইঞ্চির পরিবর্তে ৯ ইঞ্চি দূরত্বে লোহার খাঁচা ব্যবহার করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক পিলার ভেঙ্গে সত্যতা প্রমাণ পান।
চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানেই শেষ নয়!
অভিযোগ রয়েছে তার সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দ্বারা গড়ে তুলেছে শঙ্খ নদীর পাশ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া ভাঙন এলাকায় অবৈধ বালু মহাল।
আরও বিস্তারিত আসবে ২য় পর্বে। চোখ রাখুন দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকায়।