গাঁজা যখন জ্বলছে, মসুলমান নাগরিকরা সেখানে এক দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে, নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে নারী, শিশু সহ সব মানুষকে।মানবতার চরম লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল ঠিক সেই সময় ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ালেন শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইসরায়েলের মানবিক বিপর্যয়ের কথা বলে সেই দেশকে একশো কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রামীণ আমেরিকা ইসরায়েলকে এই মানবিক সহায়তা দিয়েছে। গ্রামীণ আমেরিকার কো-চেয়ার হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি গ্রামীণ আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতাও বটে। গ্রামীণ আমেরিকার দুইজন কো-চেয়ারের মধ্যে ড. ইউনূস একজন। অন্যজন হলেন জন এফ ম্যাকারও জুনিয়র। গ্রামীণ আমেরিকার সিইও আন্দ্রিয়া। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে দেখা যায় ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর যে সমস্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান তাদেরকে সহায়তা দিয়েছে তাদের প্রতি ইসরায়েল সরকার কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। এই সহায়তা দানকারীদের তালিকায় গ্রামীণ আমেরিকা রয়েছে। গ্রামীণ আমেরিকা ইসরায়েলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য স্বাস্থ্য এবং মানবিক সহায়তা হিসেবে এক কোটি ডলার প্রদান করেছে বলে জানা গেছে। যা বাংলাদেশি টাকায় একশো কোটি টাকারও বেশি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বাংলাদেশি নাগরিক। ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে থেকে তিনি অন্তত ২৮ টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের টাকা দিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিলিয়ন ডলারের গ্রামীণ আমেরিকা তৈরি করেন। গ্রামীণ আমেরিকার মূল লক্ষ্য হল সেখানে নারীর ক্ষমতায়ন এবং ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করা। গ্রামীণ আমেরিকা এর আগে হিলারি ক্লিনটনকেও অনুদান দিয়েছিল তাকে নির্বাচনে সহায়তা করার জন্য। আর এবার ইসরায়েলকে সহায়তা দিল। ইসরায়েলের ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে যখন সমগ্র মুসলিম বিশ্বে সোচ্চার, যে সময় ইসরায়েলের নিপীড়নে ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলমানরা জর্জরিত ঠিক সেই সময় ইহুদিবাদের পক্ষে ড. ইউনূসের এই অবস্থান সকলকে বিস্মিত করেছে। ড. ইউনূস তার নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য এবং মার্কিন প্রভাব বলয়ে নিজেকে আরও গ্রহণযোগ্য এবং আস্থাভাজন করার জন্যই এই এক কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু এবারই প্রথম নয়, বাংলাদেশের কোন দুর্যোগ দুর্বিপাকে ড. ইউনূস হাত না বাড়ালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামান্য ঝড় হলেও তিনি সেখানে সহায়তা দেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দুর্বিপাকের সময় ড. ইউনূসের নীরবতা যেমন লক্ষণীয় ঠিক তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামান্য বিষয়ে তার উদ্বেগ উৎকণ্ঠাও সকলের চোখে পড়ে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সহায়তা দিয়ে ইহুদিবাদের পক্ষে অবস্থান নিলেন। তাহলে কি তিনি মুসলিম বিশ্বে মানবিক বিপর্যে উদ্বিগ্ন নন? তিনি কি তাহলে গাঁজার হত্যাকাণ্ড সমর্থন করেন? ফিলিস্তিনি নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারের যে অত্যাচার হচ্ছে তার প্রতি কি তিনি সমর্থন জানালেন? ইসরায়েলের আগ্রাসনকে সমর্থন করা কি কোন অপরাধ নয়? অন্তত বাংলাদেশের একজন মুসলিম নাগরিকের জন্য। এই প্রশ্নটি এখন বড় হয়ে সামনে এসেছে।