পুরো ৮০ মিনিটে একজন খেলোয়ার কম থাকার পরও পিএসজিকে রুখতে পারেনি লে হাভরে। দুই অর্ধে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিটিনহার গোলে গতকাল লিগ ওয়ানের এ্যাওয়ে ম্যাচে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি ডোনারুমা সরাসরি লাল কার্ড পেয়ে মাঠত্যাগে বাধ্য হন। এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিসের তুলনায় চার পয়েন্ট এগিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে পিএসজি।
একজন কম নিয়ে খেলেও ২৩ মিনিটে এমবাপ্পের গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। মৌসুমে এটি লিগে এমবাপ্পের ১৫তম গোল। পর্তুগীজ ডিফেন্ডার ভিটিনহা ম্যাচ শেষের মিনিটখানেক আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, ‘আজ পুরো দল যে মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে তাতে আমি দারুণ খুশি। ম্যাচে সাধারনত এই ধরনের ঘটনা খুব একটা ঘটে না। শুরুতেই ডোনারুমাকে হারিয়ে আমরা চাপে ছিলাম। কিন্তু স্বাভাবিকের তুলনায় আরো বেশী করে নিজেদের প্রতিরোধ করার যে মানসিকতা সকলের মধ্যে ছিল তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা খুব বেশি সুযোগ তাদের দেইনি। যে সুযোগগুলো তারা পেয়েছে সেগুলো ভালোই প্রতিরোধ করেছে আরনাও টেনাস।’
রিজার্ভ গোলরক্ষক ২২ বছর বয়সী টেনাস এবারের গ্রীষ্মে ফ্রি ট্রান্সফার সুবিধায় বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন। ডোনারুমার লাল কার্ডে হঠাৎ করেই তার পেশাদার ক্যারিয়ারের অভিষেক হয়। এনরিকে বলেছেন, ‘টেনাস অসম্ভব একজন পেশাদার খেলোয়াড়। প্রতিদিনই যখন সে অনুশীলনে নামে দেখে মনে হয় এটাই তার মাঠে শেষ দিন।’
এবারের লিগের নতুন দল লে হাভরের ম্যাচের শুরুটা ভালই হয়েছিল। বেশ কিছু কর্ণার আদায় করে তারা পিএসজিকে চাপে রাখে। এর মধ্যে একটি সেট পিস থেকে কাঁধের ইনজুরিতে পড়ে ৮ মিনিটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ফাবিয়ান রুইজ। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের আর প্রতিরোধ করতে পারেনি প্যারিসের জায়ান্টরা। একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ডিফেন্ডার নর্দি মুকিয়েলে ভুল করে বসলে লা হাভরের স্ট্রাইকার জোসু কাসিমির বল পেয়ে যান। তাকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করে মাঠ ছাড়েন ডোনারুমা। বলটি ক্লিয়ার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ডোনারুমা। বক্সের বাইরে কাসিমিরকে থামাতে গিয়ে তার কাঁধে আঘাত করেন।
ডোনারুমার কারনে অ্যাটাকার ব্র্যাডলি বারকোলাকে মাঠ ছেড়ে বদলি বেঞ্চে চলে যেতে হয়েছে। ওসমানে ডেম্বেলের সহায়তায় এমবাপ্পে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন। দুই দলই এরপর আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে। কিন্তু কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পাচ্ছিলনা। এর মধ্যে স্বাগতিকরা ম্যাচে ফিরে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে। ৬৪ মিনিটে টেনাসের দুর্দান্ত সেভে ও ডানিলো পেরেইরা ইন্টারসেপশনে সমতায় ফিরতে পারেনি লা হাভরে। ৭০ মিনিটে ডেম্বেলে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন। ম্যাচ শেষের ১২ মিনিটের আগে নাবিল আলিওয়ের দুই প্রচেষ্টা পোস্টের কাছে থেকে নষ্ট করে দিয়ে টেনাস নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ৮৯ মিনিটে শেষ পর্যন্ত ভিটিনহার দুর্দান্ত গোলে পিএসজির জয় নিশ্চিত হয়।