তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দেশটিতে নিযুক্ত ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। গত ২৩ অক্টোবর কারাবন্দি এক নেতার মুক্তি দাবি করায় এসব রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২৫ অক্টোবর) দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার কূটনৈতিক আচার-নিয়ম মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, রাষ্ট্রদূতরা তুরস্কের সার্বভৌম অধিকার সম্পর্কে আরও সতর্ক হবেন বলে তার প্রত্যাশা।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তৃতায় এরদোয়ান বলেন, দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে নতুন একটি বিবৃতিতে আমাদের দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে এমন অপবাদ দেওয়া থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সংকট সৃষ্টি করা কখনোই আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অধিকার, আইন, সুনাম ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।
গত ১৮ অক্টোবর যৌথ বিবৃতিতে কারাবন্দি নেতা ওসমান কাভালার মুক্তি নিশ্চিত করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানান আঙ্কারায় নিযুক্ত ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত। বিক্ষোভে অর্থায়ন ও একটি অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার বছর আগে আটক হন কাভালা।
রাষ্ট্রদূতদের এমন বিবৃতির পর ক্ষোভ প্রকাশ করে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে তুরস্কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার নির্দেশ দেন।