গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় মঙ্গলবার ২ মার্চ রাতে ১০ বছর প্রেমের পর এ বিয়ের ঘটনা ঘটে। উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চাতাল ব্যবসায়ী রেজানুলের ছেলে ঢাকার বেসরকারি বিঃবিদ্যালয়ের ছাত্র শোভন গত ১০ বছর ধরে সদর উপজেলার মহুরী পাড়ার ইতির সংগে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে নলডাঙ্গা ট্রাকচালক সমিতির কার্যালয়ে উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হয়। এরপর নলডাঙ্গা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে গাইবান্ধা শহরের বাড়িতে যাচ্ছিলেন শোভন। সাদুল্লাপুরের কালিবাড়ি মন্দিরের পাশের রাস্তায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে বসিয়ে রেখে অটোরিকশা থেকে নেমে পালিয়ে যান তিনি।ঘটনার পর থেকে মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায় শোভনের। নিরুপায় হয়ে রাত ১১টার দিকে সাদুল্লাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন নববধূ ইতি আক্তার।
ইতি আক্তার বলেন, ১০ বছর ধরে শোভনের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। কয়েকদিন আগে শোভন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বিয়ের দাবিতে তার এলাকায় গেলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে শোভন আমাকে বিয়ে করে। সেখান থেকে বাড়ি নেওয়ার পথে সাদুল্লাপুরে পৌঁছে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। প্রেমের অভিনয় করে বিয়ের পর শোভন এমন প্রতারণা করবে বুঝতে পারিনি। আমি এমন ঘটনার জন্য শোভনের কঠিন শাস্তি চাই
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, নববধূর অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। শোভনের অবস্থান চিহ্নিতসহ তাকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।