1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

১০ হাজার করে টাকা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা, তথ্যটি সত্য নয়!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১

মহামারি করোনার কারণে গত কয়েক মাস বন্ধ আছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর এ কারণে শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে ভিড় জমান।

শনিবার (০৬ মার্চ) কুড়িগ্রাম ও জামালপুর শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ গুজব ছড়িয়ে পড়লে শহরগুলোতে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়।করোনাকালে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার করে টাকা অনুদান দেওয়া হবে। শনিবার এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে কুড়িগ্রাম শহরে। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের নিয়ে ভিড় জমান শহরের টোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির বরাত দিয়ে কুড়িগ্রামের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা জানান, চলতি বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুদানের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। যে সব শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার শিকার তারাই এই অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় দুস্থ, প্রতিবন্ধী, গরিব ও অনগ্রসর ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্রাধিকার পাবেন। এই আবেদনের শেষ সময় ৭ মার্চ। তবে এটি করোনা প্রণোদনা বা স্টুডেন্ট ভাতা না।এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ১০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে শুনে তারা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে থেকে প্রত্যায়ন নিয়ে অনলাইন আবেদনের জন্য ভিড় করে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এই ভাতা পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যায়ন নিতে গেলে তাদের কাছ থেকে ৫০-২০০ টাকা করে নেওয়া হয়।কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিলুফা ইয়াসমিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ১০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার কথা শুনে মাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে।এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, তাদের কাছে করোনার কোনো অনুদানের কাছে চিঠি আসেনি। একটি মহল গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে স্বার্থ হাসিল করতে চায় বলে তার মনে হয়।এদিকে, ১০ হাজার টাকা দেওয়ার গুজবে শনিবার জামালপুর শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ভিড় করেন হাজার শিক্ষার্থীরা। গুজব থেকে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যায়নের মাধ্যমেও আবেদন করা যাবে। এতে শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিড় করে।জেলার সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজে অন্ততপক্ষে পাঁচ হাজার ছাত্রী ভিড় করেছে প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার জন্য। সময় কলেজের ক্লাসরুম ও একাডেমি ভবনের সামনে ভিড় জমায় তারা। সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের ছাত্রী মিম খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, অনলাইনে বিজ্ঞপ্তি দেখছি যে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিবে সরকার। বিষয়টা নিয়ে আমার কাছে প্রথমে সন্দেহ হচ্ছিল কিন্তু পরে দেখলাম সবাই আবেদন করছে। তার আমিও আবেদন করতে এসেছি। আজকে প্রত্যয়নপত্র নিতে এসেছি। এ বিষয়ে সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ বন্ধ থাকলেও আজকে যেভাবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিড় করেছে এটা সবার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তারা প্রত্যয়নপত্র নিতে এসেছে, আমরা তাদেরকে প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছি। তবে এই অনুদান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বন্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সূএ : সময় নিউজ

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি