এ সময় তিনি বলেন, আগামী ১৭ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা জেলা অফিসে। সেখানেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর পরপরই ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আসবে কিনা, বা কে কার সঙ্গে যাবে, এটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। জাতীয় পার্টি সম্পর্কে শেষ বিষয়টা শুনতে আরও সময় লাগবে। একটু অপেক্ষা করেন, ভেতরের অনেক খবর আছে।
বিএনপির তফসিল প্রত্যাখ্যান ও হরতাল নিয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হরতাল এখন ভয়তাল হয়ে গেছে। এটা মরচে ধরা হাতিয়ার। যে ট্রেন ছেড়ে গেলো, সে ট্রেন থামানোর কোনও ক্ষমতা তাদের নেই। তবে সে ট্রেনে তারা না উঠলে আমরা কী করবো? নির্বাচনি ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। ট্রেন ছাড়লে তো আর থামে না। থেমে থাকবে না। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হচ্ছে, আমাদের এর বিকল্প কী করার আছে?
সংলাপ নিয়ে সিইসির প্রস্তাবের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন সামনে, তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। এই সময়ে কবে আপনি বাংলাদেশের শতাধিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবেন? কবে নির্বাচন করবেন? ডোনাল্ড ল্যু আর সিইসির সংলাপের কথা এক নয়।
তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে ওবাদুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে, গণতন্ত্রণকামী বাঙালির জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত আনন্দের একটি ঐতিহাসিক দিন। এরমধ্যে জনগণের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটেছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী সময়মত নির্বচানের কোনও বিকল্প নেই। আমরা দেশের সকল ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভোট প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।