জাভি হার্নান্দেজকে দিয়েও দুঃসময়টা কোনোভাবেই কাটাতে পারছে না বার্সেলোনা। এবার ক্লাব ইতিহাসের অন্যতম বাজে পারফরম্যান্স দেখিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টদের। ১৭ বছর পর এই বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলো কাতালানরা।
বুধবার রাতে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ০-৩ গোলে হেরে যায় জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। এই হারের ফলে ‘ই’ গ্রুপে তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ করল তারা। ৬ ম্যাচে বার্সার সংগ্রহ মাত্র ৭ পয়েন্ট। ৬ ম্যাচে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপশীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ। ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হিসেবে নকআউটে উঠলো বেনফিকা।
১৭ বছরে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব টপকাতে ব্যর্থ হলো বার্সেলোনা। ২০০৪-০৫ মৌসুমে সর্বশেষ দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে ব্যর্থ হয় বার্সা। ওই মৌসুমে মেসি প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলেছিলেন বার্সা জার্সি গায়ে।
বুধবার রাতে বায়ার্নের বিরুদ্ধে খেলতে নামার পর মাঠে কোনো প্রভাবই বিস্তার করতে পারেনি বার্সা। বরং, মনে হয়েছে বায়ার্নের সামনে খুবই নিচু মানের একটি দল খেলতে এসেছে।
৩৪ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে বার্সা। রবার্ট লেওয়ানডস্কির ক্রস থেকে হেডে বার্সার জালে বল জড়ান থমাস মুলার। ৪৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান লেরয় সানে। দুর্দান্ত এক শটে তিনি পরাস্ত করেন বার্সা গোলরক্ষক টার স্টেগানকে। প্রথমার্ধেই ০-২ গোলে পিছিয়ে যায় বার্সা এবং জয়ের পথে এগিয়ে যায় বায়ার্ন।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে তাদের জয় আশা করার বোকামি করেনি কেউ। ৬২ মিনিটে ব্যবধান আরও একবার বাড়িয়ে নেয় বায়ার্ন। এবার গোল করেন জামাল মুসিয়ালা।
৩-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর মানসিকভাবেই যেন বার্সার পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। দু’একটি বিক্ষিপ্ত সুযোগ তৈরি করেছিল বার্সার আক্রমণভাগ। কিন্তু বায়ার্নের শক্ত ডিফেন্স গলে সেটা পোস্টের সামনে গেলেও ম্যানুয়েল ন্যুয়ারকে পরাস্ত করতে পারেনি ওসমান ডেম্বেলেরা।
‘ই’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে ডায়নামো কিভকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় বেনফিকা। এই জয়ের ফলে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে পর্তুগিজ ক্লাবটি। বার্সাকে বিদায় করে বায়ার্নের সঙ্গে এই গ্রুপ থেকে পরের পর্বে উঠে গেল পর্তুগালের এই ক্লাব।