পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ‘তালা’ খুলে ফুটবলে বিনিয়োগ করে চলেছে সৌদি আরব। উদ্দেশ্য ছিল ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া। প্রথমে ২০৩০ বিশ্বকাপের বিড ধরবে সৌদি, এমন শোনা গেলেও তারা ২০৩৪ পুরুষ আসরের বিশ্বকাপের জন্য বিড ধরে।
ওই বিডে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ত্ব পেতে যাচ্ছে সৌদি আরব।
সংবাদ মাধ্যম মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে বিড ধরেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মঙ্গলবার ফুটবল অস্ট্রেলিয়া এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা বিড থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ফুটবল অস্ট্রেলিয়া বলেছে, ‘২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ পাওয়ার জন্য আমরা বিডে অংশ নিচ্ছি না। এই বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছি। ’ তারা বিড থেকে সরে আসায় সৌদিই এখন পেতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ হয়েছে কাতারে। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ হবে মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। এরপর ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ত্ব পেয়েছে মরক্কো, স্পেন ও পর্তুগাল। ওই হিসেবে ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ এশিয়া ও ওশেনিয়া মহাদেশে হবে বলে জানিয়েছিল ফিফা।
ওই আসর পাওয়ার জন্য সৌদি আরব বিড ধরে। তাদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অস্ট্রেলিয়া বিডে অংশ নেবে এমন ধারণাই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর যৌথভাবে নারীদের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করা তাসমান পাড়ের দেশটি বিডে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিডে সৌদির অংশ নেওয়ার বিষয়ে এশিয়ান ফুটবল এসোসিয়েশনের একনিষ্ঠ সমর্থন ছিল। তারপরও মানবাধিকার ইস্যুতে সৌদির বিশ্বকাপ আয়োজনের বিড ধরাকে অনেকে বিতর্কিত বলে আসছিল। ফুটবলে তাদের অঢেল অর্থ বিনিয়োগকে ‘স্পোর্টসওয়াশ’ বলা হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে সৌদির ক্রাউন প্রিন্ট মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘স্পোর্টসওয়াশ করে যদি আমাদের জিডিপি ১% বৃদ্ধি পায়, তাহলে আমরা স্পোর্টসওয়াশ চালিয়ে যাবো। ’