স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের ১৩তম আসর। জমজমাট এ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মাঠের খেলায় অন্যতম আকর্ষণ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটাররা। তাদের এবারের আইপিএলে নেয়ার জন্য শুধুমাত্র ভ্রমণ খরচই দিতে হবে ১ লাখ পাউন্ড বা ১ কোটি টাকার বেশি।
ইংল্যান্ডের মাটিতে চলছে স্বাগতিক ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। যা শেষ হবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর। আইপিএল শুরু হতে তখন বাকি থাকবে মাত্র তিনদিন। আর এমতাবস্থায় ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা যদি সাধারণ ব্যবস্থায় আরব আমিরাতে যেতে চাইতো, তাহলে সময় লাগত বেশি।
তাই এ সমস্যা সমাধানে এক জোট হয়েছে আইপিএলে অংশগ্রহণকারী সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি। কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিট্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, কিংস এলেভেন পাঞ্জাব ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মিলে ঠিক করেছে একটি চাটার্ড ফ্লাইটে করে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার আরব আমিরাতে নেয়া হবে।
এ তালিকায় মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে নাম নেই, কারণ তাদের স্কোয়াডে কোনো অসি বা ইংলিশ ক্রিকেটার নেই।
বিশেষ ভাড়া করা চাটার্ড ফ্লাইটে করে ওয়ানডে সিরিজ শেষে ম্যানচেস্টার থেকে আরব আমিরাতে যাবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ২২ ক্রিকেটার। তাদেরকে এই বিশেষ ব্যবস্থায় আমিরাতে নিতে খরচ পড়বে ১ লাখ পাউন্ড বা ১ কোটি টাকার বেশি। এই বিশেষ ফ্লাইটে থাকবেন ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, জস বাটলার, ইয়ন মরগ্যান, জোফরা আর্চার, প্যাট কামিনসরা।
আমিরাতে যাওয়ার পর আবুধাবিভিত্তিক দলগুলোর খেলোয়াড়দের বাধ্যতামূলক ছয় দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যেখানে তাদের হবে তিনটি করোনা পরীক্ষা। এ নিয়মের ফলে ২৩ সেপ্টেম্বরের আগে মাঠা নামা হবে না ইয়ন মরগ্যান, প্যাট কামিনস ও টম ব্যান্টনের।
ম্যানচেস্টার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলার পর একটি স্যানিটাইজড বাসে করে মাঠ থেকে এয়ারপোর্টে যাবেন ক্রিকেটাররা। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় যেতে হবে না তাদের। পরে একটি স্যানিটাইজড বিমানে করে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বদলে অন্য একটি বিমানবন্দরে নামানো হবে তাদের। যেখানে আগে থেকেই তৈরি থাকবে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির বিশেষ বাস।