জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর জেটিতে ভিড়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভেড়ানো হয়। ফলে সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হওয়ার ৯ দিনের মাথায় তীরের দেখা পেলেন জাহাজটির ২৩ নাবিক।
প্রায় ৩৩ দিনের জিম্মিদশার পর ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এরপরই জাহাজটি এক হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এই পথ পাড়ি দিয়ে নয় দিনের মাথায় জাহাজটি আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর জেটিতে ভিড়ে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তির পর কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই পরবর্তী বন্দরে পৌঁছতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নাবিকদের স্বজনেরা।
জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানো হয়েছে।
জাহাজটি ভেড়ানোর সময় বন্দর জেটিতে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কেএসআরএম গ্রুপের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজটি ভেড়ানোর পর বন্দরের প্রক্রিয়া শেষ করে কয়লা খালাস শুরু হবে। এরপর আরেকটি বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করে চট্টগ্রামে ফেরার কথা রয়েছে।
কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, জাহাজটি আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানোর পর দুজন নাবিকের উড়োজাহাজে করে দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি ২১ জন নাবিকের ওই জাহাজে করে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ চ্যানেলে থাকার সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজ এতদিন পাহারা দিয়েছিল এমভি আবদুল্লাহকে। এখন নেই সেই পাহারা।
কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত জানান, ঝুঁকিপূর্ণ চ্যানেল থাকায় যাত্রা শুরুর আগে এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয় এমভি আবদুল্লাহর। জাহাজের চারপাশে দেওয়া হয়েছিল কাঁটাতারের বেষ্টনী। অন্য কোনো জলদস্যু গ্রুপ যাতে জাহাজটি ফের আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য এমন নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয় জাহাজটিতে। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল নিরাপত্তা কুঠুরি ‘সিটাডেল’ও।