২৪ ঘন্টায় ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্থানীয় সময় আজ বুধবার এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটি। পরীক্ষিত এসব ক্ষেপণাস্ত্রের একটি গিয়ে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র উপকূলে গিয়ে পড়ে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনো ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার ভূখণ্ডে গিয়ে পড়ল। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে ৬০ কিলোমিটার বা প্রায় ৪০ মাইল দূরে পতিত হয়। সিউল উত্তর কোরিয়ার এই কর্মকাণ্ডকে ‘অঞ্চল দখলের’ সঙ্গে তুলনা করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, সমুদ্রসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার জেরে দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় একটি দ্বীপে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। সেখানকার বাসিন্দাদের বাংকারে আশ্রয়ে নিতে বলা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার এমন আগ্রাসী পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পিয়ংইয়ং এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত সোমবার থেকে দেশ দুটি বড় ধরনের সম্মিলিত সামরিক মহড়া শুরু করেছে। ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামের মহড়ায় দুই দেশের ২৪০টি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য আক্রমণের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পক্ষে যুক্তি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে একটি আইন পাস করে দেশটি।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষায় উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে পিয়ংইয়ং।