অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তার অধীন ২৫ মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব ও সচিবরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সচিবদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন ড. ইউনূস।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে সোয়া ১১টায় যমুনা থেকে বের হয়ে যান সেনাপ্রধান।
বৈঠকের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী সাংবাদিকদের বলেন, দেশের তরুণ সমাজ যে বিষয়গুলো সামনে নিয়ে এসেছে-বিশেষ করে সচ্ছতা এবং সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। কাজগুলো যেন যত্ন সহকারে করা হয় সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত বৃহস্পতিবার সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস। একইদিন শপথ নেন আরও ১৩ জন উপদেষ্টা। পরদিন শুক্রবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব ভাগ হয় উপদেষ্টাদের মধ্যে। পরবর্তীতে রোববার আরও দুই উপদেষ্টা শপথ নেন।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূস যেসব দপ্তরে দায়িত্ব নিয়েছেন সেগুলো হলো, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; শিক্ষা মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; খাদ্য মন্ত্রণালয়; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; ভূমি মন্ত্রণালয়; বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; কৃষি মন্ত্রণালয়; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; রেলপথ মন্ত্রণালয়; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।