টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর হতাশা পেছনে ফেলে লিগ ওয়ানে জয়ে ফিরেছে পিএসজি। দুই অর্ধের দুই গোলে ব্রেস্তকে সহজেই হারিয়েছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। প্যারিসে শনিবার রাতে লিগ ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে পিএসজি।
লিওনেল মেসি করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন বটে, কিন্তু তাকে আরও প্রস্তুত হয়ে ফিরে আসতে পিএসজির স্কোয়াডে নাম রাখেননি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। ফলে আরও একটা ম্যাচে তাকে ছাড়াই খেলেছে দলটি।
নিজেদের শেষ দুই ম্যাচেই শুরুতে গোল হজম করে পরাজয়ের শঙ্কা নিয়ে প্রায় পুরো ম্যাচই পার করতে হয়েছে পিএসজিকে। শেষ মুহূর্তে গোল পেলেও লরিয়েঁ ও লিওঁর বিপক্ষে জয়টা আর তুলে নেওয়া হয়নি লিওনেল মেসিহীন পিএসজির। সে ধারা থেকে অবশেষে ব্রেস্তের বিপক্ষে বেরোতে পারল পচেত্তিনোর শিষ্যরা।
শুরুটা অবশ্য মোটেও ভালো হয়নি তাদের। শুরুর কয়েক মিনিটে কম করে হলেও দুটো শট রুখে দিয়ে পিএসজিকে গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন জিয়ানলুইজি ডনারুমা। এরপর অবশ্য পিএসজি নিজেদের গুছিয়ে নেয়, যার ফল আসে ৩২তম মিনিটে। জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডামের পাস থেকে দারুণ এক গোল করে বসেন এমবাপে। সে এক গোলের লিড নিয়েই পিএসজি প্রথমার্ধ শেষ করে।
৫৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় দলটি। বা পাশ থেকে আক্রমণে উঠে এসে নুনো মেন্দেস কাটব্যাক করেন বক্সে, পেয়ে যান আরেক ডিফেন্ডার তিলো কেহরারকে। গেল সপ্তাহে লিওঁর বিপক্ষেও গোল পাওয়া এই ডিফেন্ডার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল তুলে নিলে পিএসজি পেয়ে যায় তাদের দ্বিতীয় গোলের দেখা।
এর পরই আসে সার্জিও রামোসের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রক্ষণকে আরও পোক্ত করতে ডিফেন্ডার বাড়ানোর ভাবনা কাজে লাগান পচেত্তিনো, তাতেই ফরোয়ার্ড আনহেল ডি মারিয়ার বদলি হিসেবে ঘরের মাঠে ‘অভিষেক’ হয় তার।
শেষে এসে নিজের কাজটা সামলেছেন ঠিকঠাক। তাতেই পিএসজি ম্যাচটা শেষ করেছে সেই ২-০ ব্যবধান নিয়েই।
এ জয়ের ফলে ২১ ম্যাচে ১৫ জয় ও পাঁচ ড্র নিয়ে ৫০ পয়েন্ট অর্জন করেছে পিএসজি। আছে লিগ ওয়ানের শীর্ষেও। সমান ম্যাচ খেলে ৩৯ পয়েন্ট অর্জন নিসের।