ভারতে আরও এক ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নিউইয়র্কফেরত ওই লোক ফাইজারের তিন ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। এরপরও করোনার নতুন ধরনের হাত থেকে নিস্তার মেলেনি তার। মুম্বাই নগর কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৃহনমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (বিএমসি) জানিয়েছে, গত ৯ নভেম্বর ভারতীয় বিমানবন্দরে নামার পর করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হন ২৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এরপর তার নমুনা জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ের জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) তার শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।
বিএমসি জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির কোনো শারীরিক উপসর্গ নেই। এরপরও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া, ওই রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে যাওয়া দুইজন করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীতে ওমিক্রন রোগীর সংখ্যা ১৫তে পৌঁছালো, এর মধ্যে পাঁচজনই বহিরাগত।
মুম্বাই কর্তৃপক্ষ বলেছে, এরই মধ্যে ওমিক্রন পজিটিভদের ১৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এছাড়া, যাদের শরীরে করোনার নতুন এই ধরন ধরা পড়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের কারোরই গুরুতর কোনো শারীরিক উপসর্গ দেখা যায়নি।
মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৪০ জন ওমিক্রন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। আর গোটা ভারতে এর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।
ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় শুক্রবার আবারও স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। করোনার এবারের ঢেউয়ে দেশটির ১৯টি জেলাকে ‘সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় সবাইকে করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্কতা জারি করে বলেছে, ভিড়ের মধ্যে গেলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে হবে এবং অনাবশ্যক ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত জনসমাগমের মধ্যে না যাওয়াই ভালো।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র ছাড়াও ভারতের কর্ণাটক, গুজরাট, কেরালা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্র প্রদেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।