৫৩ বছর আগে অ্যান্টার্কটিকায় হারিয়ে গিয়েছিল মানিব্যাগ। সেই মানিব্যাগ ফিরে পেয়েছেন পল গ্রিশাম। সম্প্রতি হুট করেই অপরিচিত কিছু ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ডাকযোগে মানিব্যাগটি পাঠিয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, পল গ্রিশাম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোর অধিবাসী। তাঁর বয়স এখন ৯১ বছর। নৌবাহিনীর আবহাওয়াবিদ হিসেবে কাজ করতেন তিনি। সেই কাজেই গিয়েছিলেন অ্যান্টার্কটিকায়। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৮ বছর। ওই সময়ই হারিয়ে গিয়েছিল মানিব্যাগটি। যদিও পল গ্রিশামের এখন আর মনেই নেই যে তিনি মানিব্যাগটি হারিয়েছিলেন কি না!
ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গত শনিবার ডাকযোগে মানিব্যাগটি ফেরত পান গ্রিশাম। কর্মসূত্রে অ্যান্টার্কটিকায় তিনি ১৩ মাস ছিলেন। সেই সময় মানিব্যাগ হারালেও একসময় তা ভুলেই গিয়েছিলেন। এত এত বছর ধরে কে আর সেই কথা মনে রাখে? কিন্তু সম্প্রতি কিছু অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে খুঁজে বের করেন এবং ডাকযোগে পুরোনো মানিব্যাগটি ফেরত দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পল গ্রিশাম বলেছেন, ‘আমি অবাক হয়ে গেছি। অনেকগুলো মানুষ আমাকে বেশ কষ্ট করে খুঁজে বের করেছে এটি ফেরত দেওয়ার জন্য।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান–এর খবরে বলা হয়েছে, ওই মানিব্যাগে নৌবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় পলের পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বেশ কিছু ব্যক্তিগত নথিপত্র ছিল। পল যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় বড় হয়েছেন। ১৯৪৮ সালে তিনি নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার কাজ করতেন তিনি। ১৯৬৭ সালে তাঁকে একটি বিশেষ কাজে অ্যান্টার্কটিকায় পাঠানো হয়েছিল। ওই মিশনের নাম ছিল ‘অপারেশন ডোপ ফ্রিজ’। কাজ ছিল বেসামরিক বিজ্ঞানীদের সহায়তা করা।
২০১৪ সালে গ্রিশামের মানিব্যাগটি খুঁজে পাওয়া যায়। অ্যান্টার্কটিকার রস আইল্যান্ডের ম্যাকমারডো স্টেশনের একটি ভবন ভেঙে ফেলার সময় এটি পেয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এরপর শুরু হয় পল গ্রিশাম আদৌ বেঁচে আছেন কি না, সেই খোঁজখবর। পরে পলের বর্তমান ঠিকানা খুঁজে বের করে সেখানে পাঠানো হয় মানিব্যাগটি।