বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ প্রাপ্তদের চূড়ান্ত নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হয়েছে।
এনটিআরসিএ-এর সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন বলেন, প্রাথমিকভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে পূরণ করে পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া, বুধবার এনটিআরসিএ-এর পরিচালক কাজী কামরুল আহসান (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশ/সিকিউরিটি ভেরিফিকেশনের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীর সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত পুলিশ প্রত্যয়ন ফরম (ভি রোল) পূরণ করা প্রয়োজন।
আরও বলা হয়, এনটিআরসিএ-এর ওয়েবসাইটের (http://www.ntrca.gov.bd) পুলিশ/ সিকিউরিটি ভেরিফিকেশন বক্স থেকে ভি-রোল ফরম ডাউনলোড করে এই ফরমের পাঁচ কপি স্বহস্তে যথাযথভাবে পূরণ করে এবং খামের উপরে বড় অক্ষরে প্রার্থীর নিজ জেলার নাম উল্লেখ করে ডাকযোগে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল গত ১৫ জুলাই রাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
তবে ৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জনকে এবং ননএমপিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে।
আর ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে মহিলা প্রার্থী না পাওয়ায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফলাফল দেয়া সম্ভব হয়নি।
এর আগে ১৫ জুলাই এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়োগ নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে আবেদনপ্রক্রিয়া শেষ করা হলেও আদালতে মামলার কারণে আবেদনকারীদের ফলাফল এত দিন প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষক নিবন্ধনের ১ থেকে ১২তম পর্যন্ত পাস করেও চাকরি না পাওয়া ২ হাজার ৫০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে সুপারিশ করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে রায় ২৮ জুন বাতিল করে দেয় আপিল বিভাগ।
চলতি বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে মোট শূন্যপদ ২০ হাজার ৯৯৬টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদে রিট মামলায় অংশগ্রহণদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।