করোনা টিকা ফাইজার-বায়োএনটেক শিশুদের করোনা প্রতিরোধে ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ কার্যকর। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
শুক্রবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা টিকা ফাইজার-বায়োএনটেকের অন্যতম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার সম্প্রতি ২ হাজার ২৬৮ শিশুর ওপর এই টিকার মেডিকেল ট্রায়াল পরিচালনা করেছে। ট্রায়ালে অংশ নেওয়া সবার বয়স ছিল ৫ থেকে ১১ বছরের মধ্যে।
টিকার দুই ডোজ দেওয়ার কিছু দিন পর এই শিশুদের দেহে ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে বলে এক বিৃবতিতে জানিয়েছে ফাইজার কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।
পূর্ণবয়স্কদের প্রতিটি টিকার ডোজ সাধারণত হয় ৩০ মাইক্রোগ্রামের। তবে এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী শিশুদের দেওয়া প্রতিটি ডোজ ১০ মাইক্রোগ্রামের ছিল বলে বিবৃতে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার গত আগস্ট থেকে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের অন্তর্ভূক্ত করেছে। শিগগিরই ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদেরও টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
সেই কর্মসূচিতে যেন ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাকে মনোনীত করা হয়- ইতোমধ্যে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ বরাবার আবেদন করেছে ফাইজার। কোম্পানির কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আবেদনপত্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক ট্রায়ালের তথ্যও জমা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করতে এ পর্যন্ত ৩ টি করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র- ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসন। প্রাপ্তবয়স্কদের এই তিন টিকার যে কোনো একটি দেওয়ার অনুমতি থাকলেও ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য কেবল ফাইজারের অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ।
সম্প্রতি টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পরও যেসব বয়স্ক মানুষদের দেহে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডির উপস্থিত কম রয়েছে, তাদের জন্য তৃতীয় বা বুস্টার ডোজের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সরকার। তবে বুস্টারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকাকে। ফাইজার -বায়োএনটেক বুস্টার ডোজে ব্যবহারের অনুমোদন পায়নি।