অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে ইউরোপে চলছে বিতর্ক। জার্মান মিডিয়ার রিপোর্ট, ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে এই টিকা মাত্র ৮ শতাংশ কার্যকর।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা অবশ্য এই রিপোর্ট উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর। তাদের দাবি, গত নভেম্বরে তারা সব তথ্য দ্য ল্যানসেটে প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর একশ শতাংশ ক্ষেত্রে বয়স্কদের দেহেও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার দাবি, সংবাদপত্রের রিপোর্ট ভুল। ডয়েচে ভেলেকে লিখিতভাবে সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন কমিটি এবং জাতীয় মেডিসিন রেগুলেটার বয়স্কদের এই ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
জার্মানির দু’টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মাত্র ৮ শতাংশ। দু’টি সংবাদপত্রই জার্মান সরকারের নামবিহীন সূত্রকে উদ্ধৃত করে খবরটা করেছে। হ্যান্ডলসব্যাট-এর রিপোর্ট বলেছে, বয়স্কদের মধ্যে এই ভ্যাকসিন ৮ শতাংশ কার্যকর। আর বিল্ডের রিপোর্ট জানাচ্ছে, তা ১০ শতাংশেরও কম কার্যকর।
দু’টি সংবাদপত্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে, জার্মান সরকারের পরিকল্পনা ছিল, যারা সেন্টারে আসতে পারবেন না, তাদের বাড়িতে গিয়ে এই ভ্যাকসিন দেয়া। কারণ, এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া ও রাখা সহজ। ফাইজার-বায়োনটেকের মতো মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে রাখতে হয় না। জার্মানির সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন, ইউরোপের মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) বয়স্কদের উপর এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি সম্ভবত দেবে না।
এই রিপোর্ট এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইউরোপে প্রতিশ্রুতি মতো ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারছে না। তারা অনেক কম ভ্যাকসিন দিয়েছে ইউরোপকে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ইইউ’র হেলথ অ্যান্ড ফুড সেফটির কর্তারা। কবে তারা প্রতিশ্রুতিমতো ভ্যাকসিন দিতে পারবে তা নিয়েই আলোচনা হবে।
গত মাসে অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের ভ্যাকসিন ইউরোপে চালুর অনুমোদন চেয়েছিল। জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে সম্ভবত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ইএমএ।