ছবি – সংগৃহীত
৭০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরেই আস্থা রাখেন। বাংলাদেশে চালানো এক জরিপের এ ফলাফলে দেখা গেছে। আর ৯২ শতাংশ মানুষের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জরিপের উত্তরদাতাদের ৯২ শতাংশ বলেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, তারা ‘খুব সম্ভবত’ ভোট দেবে। যারা ভোট দিতে চায় না তারা নির্বাচনী জালিয়াতি এবং ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত সমস্যাকে ভোটদানের প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৪ শতাংশ বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনব্যবস্থায় ফেরাকে সমর্থন করে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৪ শতাংশ বলেছেন, দেশ সঠিক পথে চলছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৭৬ শতাংশ। ৫৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন দেশ সঠিক পথে নেই। স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা উন্নত হলে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।
জরিপের ফলাফলে আরও দেখা গেছে, শেখ হাসিনার কাজকে ‘খুব ভালো’ বলে মূল্যায়ন করেছেন৩০ শতাংশ অংশগ্রহণকারীরা। ৪০ শতাংশ মনে করেন, শেখ হাসিনার কাজ ‘মোটামুটি ভালো’। ২০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, শেখ হাসিনার কাজ ‘মোটামুটি খারাপ’। ১০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী শেখ হাসিনার কাজকে ‘খুব খারাপ’ বলে মূল্যায়ন করেছে। এ ছাড়া ১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী শেখ হাসিনার কাজ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বা তারা জানে না।
জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা অর্থনীতিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এরপর রয়েছে মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। ৪৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে সন্তোষ ও ৪৭ শতাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে দেশ আগের চেয়ে গণতান্ত্রিক হয়েছে বলে মনে করেন জরিপে অংশগ্রহণকারীরা।
এ ছাড়া বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনকে সমর্থন করেন জরিপের ৪৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারীরা । তবে তাদের বেশির ভাগই মনে করেন, যে সরকারের অধীনেই নির্বাচন হোক বিরোধীদলগুলোর অংশ নেওয়া উচিত।