নিউজিল্যান্ডকে মোটামুটি সব বিশ্বকাপেই ফেবারিট ধরা হয়। শিরোপা না জিততে পারলেও ফাইনালে প্রায়ই ওঠে দলটা। ফাইনালে পা রাখতে না পারলে সেমিফাইনালে এই দলটার জায়গা হওয়াটাই যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছিল গেল কয়েক বিশ্বকাপে। কিন্তু এবার আর পারলো না কিউইরা। আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। প্রথম তিন ম্যাচে ছিল কেবল প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডার বিপক্ষে। এবার ভুলে যেতে চাইবে এমন বিশ্বকাপের শেষটা হলো পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে।
সোমবার (১৭ জুন) ত্রিনিদাদে টস জিতে নিজেদের শেষ ম্যাচে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। সতীর্থরা তার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করেন বোলিং পারফরম্যান্স দিয়ে। দাপুটে বোলিংয়ে পাপুয়া নিউ গিনিকে তারা অলআউট করে মাত্র ৭৮ রানে। যেখানে ৪ ওভার বল করে সবকটি ওভার মেডেন দিয়েন ৩ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম বোলার হিসেবে এই অনবদ্য রেকর্ড গড়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন লকি ফার্গুসন। পাশাপাশি ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি ও ইশ সোধি নেন জোড়া উইকেট। একটি উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার।
পিএনজির হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান আসে চার্লস আমিনির ব্যাট থেকে। দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারে মাত্র তিন ব্যাটার। বাকি দুইজন হলেন শেশে বাও ও নরমান ভানুয়া। তারা করেন যথাক্রমে ১২ ও ১৪। মোট ১১৮ বল ব্যাটিং করে লকি ফার্গুসনের ২৪ বল থেকে কোনো রান নিতে না পেরেই মূলত এই চাপে পড়তে হ তাদের। কিউই এই গতিতারকার বলে আবার ৩ উইকেট হারায় পিএনজি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় পরপর দুই বিশ্বকাপে জয়হীন থাকতে হলো বারামুন্দিসদের। এখন পর্যন্ত নিজেদের বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতায় কোনো জয় আদায় করতে পারেনি দলটি।
ক্ষুদ্র এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলে দল ও নিজের রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন ফিন অ্যালেন। দলীয় ২০ রানে ৬ রান করা রাচিন রবীন্দ্রর উইকেট হারায় উইলিয়ামসনরা। দুই উইকেটই শিকার করেন কাবুয়া মোরেআ। তাতেও অবশ্য জয় থেকে দূরে রাখা যায়নি ওশেনিয়া মহাদেশের দলটিকে। ডেভন কনওয়ের ৩২ বলে ৩৫ রান জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায় তাদের। দলীয় ৫৪ রানে তাকে সেমো কোমেয়া বিদায় করলেও অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের ২৫ রানের জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কিউইরা। উইলিয়ামসন ১৮ ও ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন ড্যারিল মিচেল।