রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ‘অনিয়মিত-মানোন্নয়ন’ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ওই পরীক্ষা ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ২৮ সেপ্টেম্বর।
সাম্প্রতিক লকডাউনের আগে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের পরীক্ষাসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হলে পরদিনই নানাবিধ কারণে পিছিয়েপড়া ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে নীলক্ষেত অবরোধ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের সভায় বিশেষ বিবেচনায় ও শর্তসাপেক্ষে কেবল ৭ কলেজের পরীক্ষা চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। হঠাৎ লকডাউন শুরু হলে আবার সব পরীক্ষা সংগত কারণেই স্থগিত হয়ে যায়। এর মধ্যে ২য় বর্ষ অনার্স অনিয়মিত, মানোন্নয়ন ও বিশেষ (অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন) পরীক্ষা অন্যতম। এটি নিয়মিত পরীক্ষা নয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো এসব ছাত্র ২য় বর্ষের ১ বা ২ বিষয় ফেল করায় ৪র্থ বর্ষ পাস করেও সনদ পাচ্ছেন না। চাকরির আবেদন করতে পারছেন না। আবার কেউ ১/২ বিষয়ের জন্য ৩য় বর্ষে বা ৪র্থ বর্ষে প্রমোশন পাচ্ছেন না। পরীক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছেন তারা। পরীক্ষার জন্য নিয়মিত ধর্ণা দিচ্ছেন। সুসাইডের হুমকি দিচ্ছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো এসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তিকৃতদের মিলানোর সুযোগ নেই। ডিগ্রি পাস কোর্সের শিক্ষার্থীরাও অন্যদের তুলনায় ৩/৪ বছর পিছিয়ে। এদের পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে যায়। এ দুটো পরীক্ষা ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। বৃহস্পতিবার ২য় বর্ষ বিশেষ পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কলেজে সাধারণ সময়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া যায়। অবশিষ্ট মোট ৯ দিন পরীক্ষায় প্রথম দিন ৯শ জন, দ্বিতীয় দিন ৪শ জন অন্যদিন ৫০-৭০ জন পরীক্ষার্থী। সব কলেজেই এমন। ডিগ্রি পাস পরীক্ষার্থী এত কম যে, শুধু বেগম বদরুন্নেসা কলেজে কেন্দ্র থাকে। কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হওয়ার পর ৭ কলেজে ডিগ্রি পাস কোর্স ও প্রিলিমিনারি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ৪ বছর এসব কোর্সে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়নি। এদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ, আরো করুণ হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো শিক্ষার্থীরা। সবদিক বিবেচনা করে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।