প্রথমার্ধে তিন গোল করে ফেলেছে জিরোনা। তার দুটি গোল একাই শোধ করেছেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে দলকে ৩-৩ সমতায়ও ফিরিয়েছেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। সেটিও খুব বেশি দেরিতে নয়, ৫৪তম মিনিটে। ফলে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক হলো মোরাতার।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুললো অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। জিরোনাকে কোনোভাবেই ম্যাচের মূল সময়ে গোল করে এগিয়ে যেতে দিলো না সফরকারীরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো অ্যাথলেটিকোর। গোল হজম করে বসলেন ম্যাচের শেষ মুহূর্তে।
ইনজুরি সময়ে মোরাতার হ্যাটট্রিককে বিফল করে দিলেন জিরোনার মিডফিল্ডার ইভান মার্টিন। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে (৯০+১) বক্সের মাঝখান থেকে বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত শটে আথলেটিকো মাদ্রিদের জালে বল জড়ান তিনি। ফলে ৭ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৪-৩ গোলে জিতে শেষ হাসি হেসেছে জিরোনা।
জিরোনা মাঠে নামার দুই ঘণ্টা আগে মায়োর্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই ছিল রিয়াল। তবে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে জয় পেয়ে জিরোনার সমান পয়েন্ট হয়েছে। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার কারণে জিরোনা আছে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।
ঘরের মাঠে জিরোনার হয়ে গোল করেছেন ভ্যালারি ফার্নান্দেজ (২ মিনিটে), সাভিয়া (২৬ মিনিটে), ডেলি ব্লাইন্ড (৩৯ মিনিটে) ও ইভান মার্টিন (৯১ মিনিটে)। অন্যদিকে অ্যাথলেটিকোর হয়ে একাই তিন গোল করেন মোরাতা।
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জয় পেয়ে আনন্দিত জিরোনা কোচ মিচেল বলেন, ‘লি লিগা জেতা আমাদের লক্ষ্য নয়, আমরা ইউরোপের সেরা হতে চাই। যেটি আমাদের ক্লাবের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে। আজকের ম্যাচটি সত্যি চমৎকার ছিল; অনেক কঠিন এবং তারা ভালো করেছে। অ্যাথলেটিকোও ভালো খেলেছে। আমাদের খেলোয়াড়দের অবিশ্বাস্য মানসিকতা ছিল, খারাপ সময়ে তারা ধৈর্য ধরেছে, সামনে এগিয়ে যাওযার চেষ্টা করেছে।’