এম. জি. কিবরিয়া চৌধুরীঃ
২০২৪ সাল। ৭ই জানুয়ারী। ক্ষমতা ও রাজনীতির দূশ্যপটে নবজাগরন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে আসলে ও আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় আসার পথ রুদ্ধ হতোনা। কিংবা সরকার গঠনে ব্যত্যয় ঘটত না। বিএনপি নির্বাচনে আসলে কম পক্ষে ১২০ টি আসন পেত। ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের ফলাফল ও প্রাপ্ত আসনের পারিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে এমন তথ্যই উঠে আসে। ৬০টি আসনে স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা মাইনাস স্বতন্ত্র প্লাস বিএনপি সমান সমান ১২০টি আসন। শক্তিশালী বিরোধী দলে থাকতে পারতো বিএনপি। জাতীয় পার্টির বেশী আসন পেতো না। বিএনপি রাজনৈতিকভাবে বড্ড ভূল করেছে বলে স্থানীয় পর্যায়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মনে করেন। বিএনপি নির্বাচনে আসলে ৭০% থেকে ৮০% ভোট কাস্ট হতো। বি্এনপি প্রধান বিরোধী দলে পরিনত হতে পারতো। ২০২৪ সালে বিএনপি সংসদ থেকে এলিমেন্ট হয়ে গেল। ২০২৯ সাল আসতে আসতে রাজনীতির গতিবেগ ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।সে সময় পর্যন্ত যেতে বিএনপিকে অনেক বড় ঝঞ্ঝা পোহাতে হবে। ততদিন বিএনপির রাজনীতির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে পারে। যদিও রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বেশ শক্তিমান, সমর্থন ও কম নয়, কিন্তু নেতৃত্ব কোথায়? সাহসী দার্শনিক চিন্তার নেতৃত্ব নেই। জনগনের সামনে তুলে ধরার মত দার্শনিক কর্মসূচি ও নেই। মোটকথা জনগন যে চরম দুর্ভোগে আছে। সে দূর্ভোগকে পুঁজি করে মাঠ থেকে সংগ্রাম করার মত সমর্থন কিংবা সাহস কোনটাই বিদ্যামান নেই।