যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের বিষয়ে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহাবুব।
এর আগে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) জামিন আবেদন করেন আল-আমিনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম।
আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধের জন্য স্ত্রী ইসরাত জাহানের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ক্রিকেটার মো. আল-আমিন হোসেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় স্ত্রীকে মারধর করেন আল-আমিন।
পরে এসব অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান। পরে তা মামলা আকারে নথিভুক্ত করা হয়।
ক্রিকেটার আল আমিন ও ইসরাত জাহান দম্পতির দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তারাও মায়ের সঙ্গে থানায় এসেছিল।
থানায় লিখিত অভিযোগ করার ইসরাত জাহান সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আল আমিন তাকে অত্যাচার ও মারধর করেন। এরপর দুটি বাচ্চাসহ তাকে বাসা থেকে বের করে দেন। এরপর আল আমিন অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে বাসায় উঠেছেন।
‘ওই মেয়ের সঙ্গে আল আমিনের বিয়ে হয়েছে কি না, তা জানি না। কাবিননামাও পাইনি। তবে ওই মেয়ের সঙ্গে আল আমিনের অনেক ছবি আছে।’
তিনি বলেন, দুটো বাচ্চা নিয়ে আমি এখন কোথায় যাবো? আমার এখন একটাই চাওয়া, বাচ্চাদের নিয়ে যেন ভালোভাবে সংসার করতে পারি।
ইসরাত জাহানের মামা মো. সাঈদ বলেন, গত দুই বছর ধরে ক্রিকেটার আল আমিন হোসেন আমার ভাগ্নিকে নির্যাতন করতো। এর আগেও থানায় নির্যাতনের অভিযোগে জিডি করা হয়েছিল। গত ২৫ আগস্ট মারধর করে বাসা থেকে বাচ্চাসহ ইসরাতকে বের করে দেয়। এরপর মিরপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে ইসরাত।