গানই আমার মূল জায়গা, ভালো লাগা থেকে অভিনয় করেছি: তাহসান

বিনোদন প্রতিবেদক: তাহসান খান। গায়ক, অভিনেতা ও উপস্থাপক। বন্ধুদের নিয়ে ‘অলটারনেটিভ রক ব্যান্ড’ দিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু। ব্যান্ড ও একক মিলিয়ে ১১টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন তিনি। গানে গানে ইতোমধ্যে পেরিয়ে এসেছেন দুই যুগ। সংগীতজীবনের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে এক মাসের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছেন এই শিল্পী। এ সফর ও সংগীতজীবনের নানা প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন মীর সামী

আপনার সংগীত ক্যারিয়ারের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ায় কনসার্টের আয়োজন কেমন হবে?
৬ সেপ্টেম্বর অ্যাডিলেইড দিয়ে শুরু হবে আমার সফর। এরপর ব্রিসবেন, সিডনি, মেলবোর্ন ও পার্থে পারফর্ম করব। অনেক আগেই টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। আমার কাছে এটি অত্যন্ত আবেগের বিষয়, কারণ ২৫ বছরের যাত্রায় যারা পাশে ছিলেন, তাদের জন্যই আজ আমি এখানে। এই সফরে পুরোনো জনপ্রিয় গানগুলো গাইব। পাশাপাশি কিছু গানকে নতুন অ্যারেঞ্জমেন্টে উপস্থাপন করছি, যাতে শ্রোতা নস্টালজিয়ার পাশাপাশি নতুনত্বও পান। এ ছাড়া কিছু বিশেষ চমকও থাকবে, যা দর্শক মঞ্চেই দেখতে পাবেন।

সংগীতজীবনের ২৫ বছর পূর্ণ করতে পেরে আপনার কেমন লাগছে?
সত্যি বলতে এখনও বিশ্বাস করতে পারি না, এতটা সময় পেরিয়ে গেছে। এই ২৫ বছর আমার কাছে ছিল শেখার, বেড়ে ওঠার এবং কৃতজ্ঞ থাকার সময়। ব্যান্ডে গান করা থেকে শুরু করে একক অ্যালবাম, নাটকের গান, কনসার্ট–সব মিলিয়ে দর্শক-শ্রোতার ভালোবাসাই আমাকে এত দূর নিয়ে এসেছে। এ কারণে আমি সবসময় বলি, তাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি কিছুই নই। তারা সবসময় আমার পাশে থেকেছে। আরেকটা বিষয় হলো, শিল্পীর জীবন সহজ নয়। কখনও উত্থান, কখনও পতন–সবই পার হয়ে আসতে হয়। এ জন্য কৃতজ্ঞ থাকা সবচেয়ে জরুরি। এত দীর্ঘ সময়ে সংগীত আমাকে শিখিয়েছে ধৈর্য, পরিশ্রম এবং মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্ব। এই ২৫ বছরে বুঝেছি। হিট গান কিছুদিনের জন্য হতে পারে, কিন্তু শ্রোতার ভালোবাসা দীর্ঘস্থায়ী।

পেছনের দিনগুলো কি মনে পড়ে?
অবশ্যই মনে পড়ে। ১৯৯৮ সালে বন্ধুদের নিয়ে একটা অলটারনেটিভ রক ব্যান্ড গড়েছিলাম। তখন সংগীত মানে ছিল নিছক ভালোবাসা। তবে পেশাদার সংগীতশিল্পী হিসেবে আসি দুই বছর পর, ব্ল্যাক ব্যান্ডের সঙ্গে। সেই সময়ের গান, কনসার্ট, অনুশীলন–সবকিছু এখনও মনে আছে। মনে হয় যেন সেদিনের ঘটনাই আজও চোখের সামনে ভাসছে।

সংগীতের পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন। এখন অভিনয়ে অনেকটাই বিরতি কেন?
গানই আমার মূল জায়গা। অভিনয় করেছি ভালো লাগা থেকে, আর সেটিও দর্শক ভালোবেসেছেন। তবে কয়েক বছর ধরে ইচ্ছাকৃতভাবেই অভিনয় কমিয়েছি। সবশেষ অভিনয় করেছি ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’-তে।

‘ফ্যামিলি ফিউড বাংলাদেশ’-এ উপস্থাপক হিসেবেও দেখা গেছে। অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিল?
একেবারেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা। রিয়েলিটি শোর ধরন নাটক বা গানের মতো নয়। এখানে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়, হাসি-ঠাট্টা, প্রতিযোগিতা–সব মিলিয়ে অসাধারণ সময় কেটেছে। এই অনুষ্ঠান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়। অনেক আগে থেকেই আমিও দেখতাম। যারা আগে অনুষ্ঠানটি দেখেছেন, তারা ধরনটা জানেন। আবার যারা প্রথম দেখছেন, তাদের জন্যও এটি অন্য রকম আনন্দের অভিজ্ঞতা। স্টিভ হার্ভেকে বহু বছর ধরে দেখছি। আমি তাঁর স্টাইল অনুসরণ না করে আমার দেশের দর্শক আর নিজের ব্যক্তিত্ব ভেবে শোটি করেছি। দর্শকও উপভোগ করছেন। আমাদের দেশে পারিবারিক বিনোদনমূলক শোর অভাব ছিল, এই অনুষ্ঠান সে অভাব অনেকটা পূরণ করেছে।

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১