স্পোর্টস রিপোর্টার: আপন মানুষগুলোর প্রিয় গ্যালারি, সেই যে বছর কুড়ি আগে পেরুর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে প্রথম খেলতে নেমেছিলেন বছর আঠারোর এক কিশোর; আজ এত দিন পর বিশ্বফুটবলের কিংবদন্তি তিনি, সেই একই মাঠে চেনা মানুষের ভিড়ে শেষবারের মতো খেলতে নামতে যাচ্ছেন। আবেগ ছুঁয়ে যায় বৈকি, তাই পরিবারের সবাইকে বুয়েন্স আয়ার্সের এস্তাদিও মনুমেন্তালে নিয়ে আসছেন মেসি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচটিই (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৫টা) হতে যাচ্ছে দেশের মাঠে তাঁর শেষ ম্যাচ।
বুয়েন্স আয়ার্সের কাছ থেকে বিদায় নিতে তৈরি মেসি। ‘এটা আমার জন্য বিশেষ একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে। জানি না বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পর এখানে কোনো প্রীতি ম্যাচ হবে কিনা। সে কারণেই আমি পরিবারের সবাইকে আসতে বলেছি। সেদিন গ্যালারিতে আমার স্ত্রী, সন্তান ছাড়াও ভাই, বাবা-মা সবাই খেলা দেখতে আসবে।’
মেসির এই ‘বিশেষ ম্যাচ’ ঘিরে আর্জেন্টাইনরাও আপ্লুত। একটা বিষাদের সুরও যেন বাজছে সেখানে। যা আঁচ করতে পেরেই আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি মন খারাপ নয় বরং ম্যাচটি উপভোগ করার ডাক দিয়েছেন। ‘আমাদের মানসিকতাই এমন যে সব সময় একটু বিষণ্নতায় ভুগি, আমাদের সময়টা উপভোগ করা উচিত। যতদিন মেসিকে পাচ্ছি, ততদিন উপভোগ করতে হবে। ভবিষ্যতে যা হওয়ার হবে।’ আর্জেন্টিনার টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এভাবেই মেসির বিশেষ ম্যাচটিকে ব্যাখ্যা করেন স্কালোনি।
সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাওয়ায় আর্জেন্টিনার বাকি থাকা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দুটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। যার একটি শুক্রবার ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে, পরেরটি বুধবার ইকুয়েডের মাঠে গিয়ে। এরপর অক্টোবরে ভেনিজুয়েলা এবং পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ রয়েছে।
আগামী মার্চে ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে ফিনালিসিমিয়া ম্যাচ রয়েছে আর্জেন্টিনার। তারপর কী হবে, এখনও কিছুই জানেন না স্কালোনি। ‘মেসি কবে অবসর নেবে, তা নিয়ে এখনই চিন্তা করার দরকার নেই। সে এখন আর শুধু আর্জেন্টিনার নয়, সে ফুটবল বিশ্বেরও গুরুত্বপূর্ণ একজন। সে যতক্ষণ খেলবে, ততক্ষণ আমরা শুধুই উপভোগ করে যাব।’
বুয়েন্স আয়ার্সের ৯০ হাজার দর্শকের এই স্টেডিয়ামে মেসি ২৭টি ম্যাচ খেলেছেন। দুই দশকের স্মৃতিতে তাঁর জড়িয়ে রয়েছে ১৭টি গোল আর ১১টি অ্যাসিস্টের।