কূটনৈতিক প্রতিবেদক: সংহতি, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও জোরদারের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও তুরস্ক। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা রোধে সাহায্য, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা বাড়ানো এবং মিয়ানমারে তাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জরুরি প্রয়োজনীয়তায়ও জোর দিয়েছে দুই দেশ।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ রাজনৈতিক যৌথ পরামর্শ বৈঠকে বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণ, সংযোগ ও বিনিয়োগ এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বাড়ানো। এসব বিষয়ে যৌথ উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের পরবর্তী রাউন্ড আহ্বানে গুরুত্ব দিয়েছে দুই পক্ষ।
মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ বৈঠকে নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম এবং তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত এ বেরিস একিনচি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন, সার্বভৌম ও সংলগ্ন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং গাজা উপত্যকায় নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা বন্ধ, তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও অবাধ মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে উভয় পক্ষ।
বাংলাদেশ পক্ষ গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার সুসংহতকরণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রচারে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে তুরস্কের দৃঢ় সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি আরও তুর্কি বিনিয়োগ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের আলোকে ক্রান্তিকালীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তুরস্কের সহায়তা চেয়েছে।
জবাবে তুর্কি পক্ষ গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং প্রতিষ্ঠান গঠনের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থনের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বৈঠকে গবেষণা ও উদ্ভাবন, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, যুব ও ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে সহযোগিতা জোরদারেও মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ ও তুরস্ক, যেন জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ আরও বাড়তে পারে।