জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ও তার স্ত্রী ফারহানা সাঈদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি পাওয়ায় তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন এই গোয়েন্দা ইউনিটের কমিশনার মোহাম্মদ আবদুর রকিব জাতীয় অর্থনীতিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সাঈদ খোকন, তাঁর মা শাহানা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা সাঈদ ও স্বজন জাবেদ আহমেদের নামে থাকা ৭৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কমিশনার মোহাম্মদ আবদুর রকিব জাতীয় অর্থনীতিকে বলেন, সাঈদ খোকন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা এফডিআর, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, দোকানসহ কয়েকটি খাতে আয়ের তথ্য আয়কর বিবরণীতে গোপন করেছেন। তদন্ত চলমান রয়েছে। ফাঁকির পরিমাণ বাড়তে পারে। ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় দুইজনের নামে থাকা সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে, সাবেক মেয়র ও ঢাকা-৬ আসনের সাবেক এমপি সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী ফারহানা সাঈদ ও মা শাহানা হানিফের নামে থাকা তিনটি পারপিচ্যুয়াল বন্ড হিসাবের লেনদেন অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব পারপিচ্যুয়াল বন্ডে মোট ৯০ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে সাঈদ খোকনের নামে থাকা গুলশানে একটি ১৪ তলা বাড়ি ও বনানীতে থাকা দুটি বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া সাঈদ খোকনের মা শাহানা হানিফের নামে বারিধারায় থাকা জমি ও বাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এদিন দুদকের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান এ আবেদন করেন। পরে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শাহানা হানিফ, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও জাবেদ আহমেদ, ফাতেমা খাতুনের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবসমূহে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগসহ সাঈদ খোকনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তার পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে অভিযোগসংশ্লিষ্ট সাঈদ খোকন, ফারহানা সাঈদ ও শাহানা হানিফের নামে সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডে পরিচালিত তিনটি হিসাবের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক পিএলসির পাপিচ্যুয়াল বন্ডে মোট ৯০ কোটি টাকার বিনিয়োগ জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাঈদ খোকন ও তার পরিবারের ৭৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।






Add Comment