নিজস্ব প্রতিবেদক: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন আড়াই ঘণ্টায়ও নেভেনি। বিমানবন্দরটি সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠা-নামা সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সব ধরনের উড়োজাহাজকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে বলা হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমান বাহিনী। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের পাশাপাশি কাজ করছে বাহিনীটির দুটি ফায়ার ইউনিটও। সিভিল এ্যাভিয়েশনসহ সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সহায়তা করছে দুই প্লাটুন বিজিবিও।
বিমান বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা বুশরা ইসলাম বলেন, ‘৮ নম্বর গেটের কার্গো ভিলেজের পাশের একটি অংশে আগুন লেগেছে। এ অংশে আমদানি করা পণ্য মজুদ রাখা হয়। সোয়া দুই ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমরা কাছে যেতে পারছি না। বিমান ও অন্য এয়ারলাইন্সের সব ফ্লাইটকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ল্যান্ড করতে বলা হয়েছে। ফলে ঢাকার শাহজালালের পথে থাকা উড়োজাহাজ চট্টগ্রামে অবতরণ করছে।
বিদেশ থেকে আমদানি করা সব পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে বুশরা ইসলাম জানান, স্কাই এয়ারের একটি উড়োজাহাজ টেনে সরানোরও চেষ্টা চলছে। সেটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথমে চারটি, পরের তিনবারে আরও নয়টি, চারটি ও তিনটি ইউনিট শাহজালাল বিমানবন্দরে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোলরুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।
বিমান বাহিনী সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের আমদানি কারগো এলাকায় আগুন লাগার পর পরই নজরে আসে তাদেরও। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় অবস্থিত বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার এবং বাশার থেকে বিমান বাহিনীর অগ্নিনির্বাপণে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল এ্যাভিয়েশনের পাশাপাশি বিমান বাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিটও অগ্নিনির্বাপণে সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, বিমান বাহিনীসহ বিমানবন্দরে দায়িত্বরতরা কাজ করছেন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা লিমা খানম আরও জানান, আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। হতাহতের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।
—জা.অর্থনীতি/ এআর
