রঙিন স্বপ্ন ফিরল কফিনে, স্বজনদের মাতম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: সচ্ছল জীবনের রঙিন স্বপ্ন নিয়ে, স্বজনদের মুখে হাসি ফুটাতে প্রবাসে গিয়েছিলেন তারা। সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই নিজের শহরে ফিরে এলেন সাদা শুভ্র কাফনে, স্বজনদের চোখে অশ্রু ঝরিয়ে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মরদেহ হয়ে ফেরা এই প্রবাসীরা হলেন, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সারিকাইত ইউনিয়নের আমিন মাঝি, মো. আরজু, মো. রকি, সাহাব উদ্দিন ও মো. বাবলু, মাইটভাঙার মো. জুয়েল, রহমতপুরের মো. রনি এবং রাউজানের চিকদায়েরের ইউসুফের ছেলে মো. আলাউদ্দিন।

নিহত আটজন প্রবাসীর মরদেহ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছায়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১২২ ফ্লাইটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানান, রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে শেষবারের মতো সাগর পাড়ি দিয়ে জন্মভূমি সন্দ্বীপের উদ্দেশ্যে সাতজনের মরদেহ নেওয়া হয় সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফেরিঘাটে। অন্যজনের মরদেহ রাউজানের চিকদাইর ইউনিয়নে নেওয়া হয়। ।

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা বলেন, রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একসঙ্গে সবার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়।

৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটার দিকে ওমানের দুখুম সিদ্দা এলাকায় দুর্ঘটনায় সন্দ্বীপ উপজেলার সাত প্রবাসীসহ আটজন নিহত হন। সিদরা থেকে সাগরমুখী একটি মাছ পরিবহনের বড় গাড়ি বেপরোয়া গতিতে ধাক্কা দিলে তাদের গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। নিহতদের পাঁচজন সারিকাইত ইউনিয়নের, একজন মাইটভাঙার ও অন্যজন রহমতপুরে ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন। অন্যজন রাউজানের চিকদায়ের ইউনিয়নের।

Add Comment

Click here to post a comment

space for add

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১