পুঁজিবাজারে ‘আইপিও খরা’, দেড় বছর ধরে নেই নতুন তালিকাভুক্তি

চলতি সরকারের দেড় বছরের মেয়াদে পুঁজিবাজারে নতুন কোনো কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে মূলধন তুলতে পারেনি। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শেয়ার অফলোড এবং বড় কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগে এখনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চে টেকনো ড্রাগসের পর থেকে আর কোনো কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পায়নি। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের এক ডজন আইপিও আবেদন বাতিল করে। এর ফলে মার্চেন্ট ব্যাংকাররাও নতুন আবেদন জমা দেওয়া বন্ধ রেখেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি মার্চেন্ট ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনিশ্চিত। কেউই জানে না নতুন নিয়মে অনুমোদন পাবে কি না।

সরকারি সংস্থা বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনতে চেষ্টা চলছে। তবে উদ্যোক্তাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম জানান, আইপিও অনুমোদনে স্থবিরতার কারণ ‘পাবলিক ইস্যু রুলস’-এর সংশোধন প্রক্রিয়া, যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন আইপিও না এলে বাজারে শেয়ারের যোগান বাড়বে না।

সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, মূলধন উত্তোলন না হলে পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে ড্রাই হয়ে যাবে।

২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২৬টি কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে বাজারে এসেছিল। অথচ বর্তমান সরকারের দেড় বছরে নতুন কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়নি।

জা.অর্থনীতি/এআই

Add Comment

Click here to post a comment

space for add

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১