ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে চারজন মিলে ধর্ষণ করেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এলাকাবাসী তিনজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। ঘটনার পর অভিযুক্তদের একজন পালিয়ে গেছে।
চারজনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীর পরিবারের তথ্যমতে, মানকোন ইউনিয়নের একটি গ্রামের ওই কিশোরী ঢাকায় একটি বাড়িতে কাজ করত। গত মঙ্গলবার সে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিল। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে মুক্তাগাছায় বাস থেকে নেমে অটোরিকশায় পদুরবাড়ী বাজারে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে হেঁটে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল। পথে এলাকার রমেশ চন্দ্র দের ছেলে পংকজ দের সঙ্গে তার দেখা হয়। পংকজ তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি অটোরিকশায় তুলে নেয়। এরপর তাকে ভিন্ন পথে ঘুরিয়ে চাপুরিয়া গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পংকজ, অটোরিকশাচালক চাপুরিয়া গ্রামের খাইরুল হকের ছেলে রোমান, একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে এমরান হোসেন এবং পলাতক আমির হোসেন মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, স্থান পরিবর্তন করে সারারাত তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। অটোরিকশার ভেতরেও চলে পৈশাচিকতা। রাত প্রায় ২টার দিকে তাকে একটি মৎস্য খামারের পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরদিন বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা কিশোরীটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
বুধবার রাতে এলাকাবাসী সালিশের কথা বলে অভিযুক্ত পংকজ, রোমান ও এমরানকে ডেকে আনেন। জনসমক্ষে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করলে উত্তেজিত জনতা তাদের তিনজনকে বেঁধে রেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অপর অভিযুক্ত আমির হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ বুধবার রাতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামি আমির হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
—জা.অর্থনীতি/আরএস






Add Comment