বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুনিয়া আত্মহত্যার ঘটনার ডাক্তারী পোস্টমর্ডেম রিপোর্ট ও মুনিয়ার লিখিত ডায়ারী আদালতের বিবেচনায় আনার সুযোগ ছিল। আদালতে মুনিয়ার অন্ত:সত্বার বিষয়ে অধিকতর মূল্যায়ন করতে পারতো। ক্ষোভ আইনজীবীদের বাদী পক্ষের আত্মীয়দের। মুনিয়ার পেটের সন্তানতো আকাশ থেকে আসেনি। মুনিয়া ও তার সঙ্গীর স্ব ইচ্ছায় মিলনের ফসল অনাগত সন্তান। সে সন্তান কার। কার সাথে কোন ক্রিয়ার অন্ত:সত্বা হলো। মেডিকেল রিপোর্ট সেটি বের করার মত প্রযুক্তি বিদ্যমান। কিন্তু আদালত এই রিপোর্টটি আমলে নেইনি। আমলে নেয়া না নেয়ার এখতিয়ার আদালতের আছে। আবার সংক্ষুব্দ হয়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে আইন তথ্য উপাত্তের গড়মিল থাকলে সে বিষয়ে কথা বলার আবেদন নিবেদন করার এখতিয়ার ও রয়েছে। অপর দিকে মুনিয়ার বাসায় যাতায়াতে’র ভিডিও ফুটেজের আলামতে পুলিশ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছে আসামীর যাতায়াতের তথ্য মিলেছে। আসামী মুনিয়ার বাসায় নিশ্চয় ইবাদত করতে আসেনি। তারপর আসামি যদি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নাই বা থাকেন। তাহলে তিনি আগাম জামিন, পরিবার দেশ ছেড়ে পালানোর ঘটনা কেন ঘটলো। তারপর তদন্তকারী অফিসার এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে কথা বলা থেকে বিরত থাকলেন কেন? যাই হোক আদালত যুক্তি তর্ক বিবেচনায় যে রায় দিয়েছেন সে রায়ের ব্যপারে কোন বক্তব্য করা সমীচীন নয় । তবে খুনের বিচার মানব রচিত আইন আদালতে ছাড় পেলেও, মাহান সৃষ্ট্রিকর্তার আদালতে প্রাকৃতিক কোন ঘটনার মধ্যদিয়ে হয়ে থাকে । খুনের বিচার স্বয়ং আল্লাহ এর বিচার দায়িত্ব রয়েছেন। সেখানে এক চিলতে ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। ধর্মীয়ভাবে ইসলাম ও আল-কুরআনের বিধান মতে মুনিয়া যত অপরাধী হোক না কেন, যেহেতু কোন না কোন মাধ্যমে খুন হয়েছে। খুন হওয়া ব্যাক্তির অতীতের সকল অপরাধ এমনি এমনি মাফ হয়ে যায়। শেষ বিচার সে বেহেস্ততে যায়। আর যে খুনী বা খুনের সঙ্গে জড়িত, তারা দুনিয়া ও আখেরাতে অশান্তিতে থাকে। তারা সারাজীবন মানসিক ভাবে অস্থির থাকে। স্বাভাবিক জীবন আর চালিত করতে পারেনা।
আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুনিয়া’র আত্মহত্যার ঘটনাটি অজ্ঞাতই থাকল। এই ঘটনা মরে যাবে না। ফৌজদারী অপরাধ মরবেনা। অনন্তকাল ধরে চলতে পারে। যখন সুযোগ হবে তখনই এর বিচারের সুযোগ থেকেই যায়।