প্রবাসী সাংবাদিক কনক সারোয়ার একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে বাংলাদেশ ও সরকার বিরোধী অসত্য মিথ্যাচার এবং অসালীন বক্তব্য প্রচার করে যাচ্ছে। কনক সারোয়ার বিদেশে থাকায় দেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে শাস্তি কার্যকর করা যাচ্ছেনা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকার আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদিকে সাংবাদিক কনক সারোয়ারের অসত্য মিথ্যাচার এবং অশালীন কন্টেন্ট নির্মানে বাংলাদেশ থেকে সরকার বিরোধী সমর্থিত ব্যাবসায়ি ও রাজনৈতিক নেতারা যে অর্থের যোগান দিচ্ছে তার একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হচ্ছে।
কনক সারোয়ার প্রচলিত বিধি বিধান আইন আদালতকে তোয়াক্কা না করে দেশী আইনীর টেরিটরির বাইরে থেকে ফৌজদারি অপরাধ সহ সাংবিধানিক অপরাধ করছে। এই অপরাধ প্রসংগে প্রখ্যাত আইনজীবী ডক্টর কুতুবউদ্দিন চৌধুরী জেএটিভিকে বলেন, যারা কনক সারোয়ারকে অপরাধ সংগঠনের জন্য অর্থায়ণ করছে তারাও সমান অপরাধী । যেহেতু দেশের চিহ্নিত লোকেরা অর্থ প্রদান করছে, তাদের খুজে বেড় করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন অনতি বিলম্বে কনক সারোয়ারের বিরুদ্ধে সরাষ্ট্র পররাষ্ট্র ও আইসিটি মন্ত্রনালয়কে এব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।
কনক সারোয়ার ও ইলিয়াস গং রা দীর্ঘদিন ধরে, বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অশালিন মিথ্যাচার সংযোজন করে ভিডিও কন্টেন্ট নির্মান করে তাদের ইউটিউবে প্রচার করছে। এ বিষয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী বুদ্ধিজীবিগণ। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি শিক্ষক নেতা বঙ্গবন্ধু কারিগরি কলেজের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক জেএটিভিকে অত্যান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিৎ কনক সারোয়ার সহ তাদের সহযোগীদের কে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা । তিনি বলেন, এদের অপকর্মের কারণে, সাধারণ মানুষ বিভান্ত হচ্ছে। এদের এখনই প্রতিরোধ করা উচিৎ ।
বিএনপিপন্থি ব্যাবসায়ীদের টাকায় লালিত পালিত একজন গুজব প্রচারকারী অনলাইন এক্টিভিষ্ট কনক সারোওয়ার। যিনি টাকার বিনিময় যে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ প্রচার করতে সক্ষম। মূলত তার সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি অনলাইনে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
বিবিসির তথ্যমতে বিএনপির মাঠপর্যায়ে আন্দোলোনের প্রচেষ্টা নেই।। কারণ, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণ এখন বঙ্গকন্যার উপর আশ্বস্থ। দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বাড়ায় অনেক সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
ফলে, অপরাজনীতি কিংবা মিথ্যা নির্ভর রাজনীতির প্রসার ঘটাতে ব্যার্থ বিএনপি। রিতিমতো কর্মী সংকটে ভুগছে তারা। এজন্য মিথ্যা ও গুজব নির্ভর মাইন্ডসেট তৈরীতে পরবর্তী নতুন তিন প্রজন্মকে টার্গেট করে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। যেহেতু নতুন প্রজন্ম তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর এবং অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশী সময় ব্যয় করে, সেহেতু কুটনৈতিক অপতৎরতা হোক কিংবা অভ্যন্তরিণ বিষয় সকল ইস্যুতে কনক সারোয়ার, ইলিয়াস হোসাইন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর, সহ বিএনপির টাকায় লালিত পালিতরা ইউটিউব, ফেজবুক, সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশী সক্রিয়। যেখানে টাকার বিনিময় নির্দিধায় চলে মাইন্ড ম্যানুপুলেশন বা নতুন প্রজন্মের মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রনের প্রক্রিয়া । কারণ, তাদের ধারণা পরবর্তী নতুন তিন প্রজন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অবদানকে নতুনপ্রজন্মকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা যাবে। যার প্রমাণ সাম্প্রতি ফাঁস হওয়া কনক সারোয়ারের অডিও ফোনালাপ, যেখানে ¯পষ্ট হয় মাইন্ড ম্যানুপুলেশনের জন্য অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি।
প্রশাসনের নথি সুত্রে জানা যায়, কনক সারোয়ার একজন ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী। বর্তমানে বিদেশে পলাতক। বিদেশে তার আয়ের একমাত্র উৎস টাকার বিনিময় আওয়ামীলীগ বিরোধী মিথ্যা ও গুজব ভিডিও বানানো এবং তা প্রচার করা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিক অপতৎপরতায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কনক সারোয়ারদের মতো অনলাইন এক্টিভিষ্টদের সরাসরি যোগসাজস রয়েছে ।