এর আগে দুপুর ১২টার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় জনসভাস্থল। তবে এখনো দূরদূরান্ত থেকে হেঁটে মানুষ জনসভাস্থলের দিকে ছুটছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে জনসভাস্থল। একই সঙ্গে চলছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সংসদ সদস্যদের বক্তব্য। আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কি বার্তা নিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, জনসভাস্থলে বসে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তা শোনার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন বৃহত্তর যশোরবাসী।
আজ সকাল ৮টার পর থেকে মানুষ জনসভামুখী হতে শুরু করে। তাদের স্বাগত জানাতে রঙিন হয়ে উঠেছে দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোর। সকাল থেকেই জনসভাস্থল অভিমুখে মানুষের ঢল দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাদা গেঞ্জি ও লাল-সবুজ টুপি পরে পুরুষ কর্মী-সমর্থকেরা এবং লাল পাড়ের সবুজ শাড়ি পরে নারী কর্মী-সমর্থকেরা এসব মিছিলে অংশ নেন। সকাল থেকে যশোর শহরের বিভিন্ন সড়কে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কয়েক দফায় তল্লাশির পর দর্শকদের সভাস্থলে প্রবেশের অনুমোদন দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর সাংবাদিকদের বলেন, জনসভাস্থলে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ দেওয়ার ৫০ বছর পর সেই যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হচ্ছেন শেখ হাসিনা। দেশের দক্ষিণবঙ্গের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যগত প্রভাবে ‘নতুন স্বপ্ন আর প্রত্যাশার ডালি’ নিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী—এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের।