1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন

উন্নত দেশ গড়তে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে ভূমিকা রাখতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪

কেফায়েতুল্লাহ কায়সার, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সুধী সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।নগরীর পাঁচলাইশ কিং অব চিটাগং ক্লাবে ৯ মার্চ এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এ-সময় মন্ত্রী বলেন,বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সবসময় সারা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন সেই লক্ষ্য অর্জনে চট্টগ্রাম সিটি

কর্পোরেশনকে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ-সময় মন্ত্রী মশার প্রকোপ নিয়েও কথা বলেন। মশা কমাতে জনসচেতনতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন,  হাজার প্রকারের মশা আছে পৃথিবীতে, বাংলাদেশে আছে তিন প্রকারের-এনাকিউলিস, কিউলিস এবং এডিস। আমাদের দেশে আগে এডিসের প্রকোপ তেমন ছিল না। এখন প্রচুর এডিসের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।

‘এ-ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনকে  দায়িত্ব  পালন করতে হবে।৯৮ পারসেন্ট এডিস মশা পরিস্কার পানি থেকেই হচ্ছে। সিটি করপোরেশন ফগিং করে, স্প্রে করে। এত কিছু করেও সেটা মোকাবেলা করা যাবে না। অন্য মশা স্প্রে করে ধ্বংশ করা যায়, এডিস মশা করা যায় না। তাই পানি জমা রাখা যাবে না। এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন হতে হবে।

নগরীর আবর্জনা অপসারণে নতুন প্রকল্প দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আবর্জনার পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকে। এ ক্ষেত্রে চসিক মেয়র নিউমার্কেট, ইপিজেড ও বহদ্দারহাটে আন্ডারপাসের কথা বলেছেন। ফিজিবিলিটি স্টাডি করে উপযোগী হলে প্রকল্প পাস করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের সাথে মন্ত্রীর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আমরা পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রী এবং  মন্ত্রীর নিকট চট্টগ্রামের কোনো সমস্যা জানালে আমরা নিরাশ হইনা।

এ সময় মেয়র মন্ত্রীকে জানান,  চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিজের অর্থায়নে ৮২টা স্কুল, ৫৬টা হেলথ কমপ্লেক্স, ৪টা মাতৃসদন হাসপাতালসহ চিকিৎসা কেন্দ্র, কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, নার্সিং ইনস্টিটিউট পরিচালনা করছে।

চসিকের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে নানামুখি পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে জনগণের আপত্তি ছিল  আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য ৬টি রিভিউ বোর্ড গঠন করে উক্ত রিভিউ বোর্ডে আমি নিজে উপস্থিত থেকে ৮টি স্থানে গণশুনানির মাধ্যমে করদাতাদের চাহিদা মতে সহনীয় পর্যায়ে কর মূল্যায়ন করি। এতে নগরবাসীর গৃহকর নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল তা প্রশমিত হয়েছে। আমার এ উদ্যোগের ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় বেড়েছে। এ সময় মেয়র মন্ত্রীকে চট্টলাবাসীর পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা জানান।

সমাবেশে চসিকের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী অফিশিয়াল কাউন্সিলর ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘ঢাকার সব মার্কেট চালায় সিটি করপোরেশন। আর চট্টগ্রামে চালায় সিডিএ। আমি অবিলম্বে দাবি জানাই, সব মার্কেট সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হোক।’

সমাবেশে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ বলেন, “সিটি করপোরেশনের তিন বছরের উন্নয়নে আমি সন্তষ্ট। বঙ্গবন্ধু কন্যার চট্টগ্রামের প্রতি যে বিশেষ দায়িত্ব তা তিনি নিজে ঘোষণা করেছেন। এর জন্য সিটি করপোরেশনকে আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।

এত কাজ প্রতিটি ওয়ার্ডে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অনেক অবজারভেশন থাকে, সেগুলো শেয়ার করুন। মেয়র মহোদয় ক্লোজলি মনিটর করুন। অনেক ত্রুটির কারণে সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশি হচ্ছে। ভুক্তভোগীরাই সেটা আপনাকে বলতে পারবে।”

কোনো বাড়ি বা দোকানের সামনে ময়লা পেলে মালিককে জরিমানা করতে হবে মন্তব্য করে এম এ লতিফ বলেন, “কর্ণফুলীতে প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ টন পলিথিন গিয়ে পড়ে এতে নাব্যতা নষ্ট হচ্ছে।

কিছুদিন আগে ফুটপাতগুলো চাঁদাবাজরা দখলে নিয়েছিল। সারাজীবন যারা চাঁদার উপর নির্ভর করেছে তাদের থেকে শহরকে রক্ষা করতে হলে মেয়রকে আরো শক্ত হতে হবে।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম বলেন, “চট্টগ্রামের মানুষের আকাঙ্ক্ষা মন্ত্রী ভালো করে জানেন। চট্টগ্রামের মানুষ যানজটমুক্ত, জলাবদ্ধতা মুক্ত, বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে চট্টগ্রাম চায়। মেয়র মহোদয় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ২ বছর বাকি আছে। আমরা যারা সাংসদ উনার পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করব।”

চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, “নগরবাসীর জন্য বাসযোগ্য নগরী গড়তে মেয়র উদ্যোগ নিয়েছে। নগরীকে যানজটমুক্ত করতে এবং ফুটপাতের যত্রতত্র হকার বসা বন্ধ করতে মেয়রের উদ্যোগ নগরবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন,  রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে. এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী, চসিকের প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম,  স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শের আলী, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম,  প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার। সুধী সমাবেশে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি ও চসিকের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি