মুস্তাকিম নিবিড়ঃ
ঢাকা ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মধ্যে ৪১টি স্বীকৃত নৌপথ থাকলেও বর্তমানে ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মাত্র ৩১টি রুটে বাণিজ্যিক লঞ্চ চলাচল করছে। বাকি ১০টি রুটে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে পরিত্যক্ত হয়েছে। কারণে নদী খনন ও পলি অপসারণে অনিয়ম ও দুর্নীতি।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম রোববার অভ্যন্তরীণ নৌপথের ওপর ঈদ-পূর্ব পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ সূত্র ও নৌযান মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, নাব্যতা স্বল্পতার কারণে ১০টি নদীপথে লঞ্চ চলাচল করছে না।
তারা বলছেন, দুর্বল নাব্যতার কারণে ওই নৌপথগুলো দৃশ্যত পরিত্যক্ত হয়েছে।
এসসিআরএফ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত ড্রেজিংয়ের অভাবে এই সংকট তৈরি হয়েছে।
সবুজ কর্মী ও বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে scrf অভিযোগ করেছে যে খনন ও ড্রেজিং কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে।
লঞ্চ মালিকদেরও একই অভিযোগ রয়েছে যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে নৌপথ সঠিকভাবে ড্রেজ করা হচ্ছে না, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ তাদের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করছে বলে বিআইডব্লিউটিএ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্ক্র্যাফ। ফলে সুবিধা পাচ্ছেন না নৌ পরিবহন মালিকসহ সাধারণ মানুষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারও এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌপথ উদ্ধারে কাঙ্খিত সাফল্য আসেনি।
ড্রেজিং এর নামে চলছে লুটপাটের মহোৎসব, আর এ লুটপাটের সাথে জড়িতদের নিয়ে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে, চলছে চুল ছাড়া বিশ্লেষণ, ড্রেজিং খাতের লুটেরাদের নিয়ে বিস্তারিত থাকবে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির পরবর্তী প্রতিবেদনে।